সহস্র রজনী পেরিয়ে,
ঘুমের রেশ এড়িয়ে-
ছুটে চলছি দিগন্তের পানে।
সারি সারি পাথর, ঘর্ষণেও ওঠে জ্বলে-    
তীব্র আকাঙ্খায়।
না পাওয়ার ছলে, সিক্ত চোখের জলে,
হারিয়ে ফেলি তোমায়।
হারিয়ে যাই বেশ,
রক্তিম আভায় প্রাণবন্ত সুনালী কেশ।
মলয়ের ছোঁয়া লাগি,
কেশের ফাঁকে ফাঁকে লোহিত গোধূলির হাসি।


হাসিটুকু ছড়িয়ে দুহাত মেলিয়ে
আবগাহন করে ধূ-ধূ ধূসর মরুভূমি,
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ কোণ বেঁকে গিয়ে
শূণ্যতায় নেয় আশ্রয়,
তৃষ্ণার্ত কাকের মতো
জলে সন্ধানে অবিরত
মরিচিকা দেখি তাই,
তবুও যেন সে এক রহস্যময়ী নারী।
দ্রুত বেগে চলে সে রথ,
ধূধূ করে ওঠে মনের প্রান্তর,
ছেঁয়ে যায় চারিপাশ,
অমানিশার নিকষ কালো অন্ধকার।


দেখতে পাই একটা আলোর ঝলক
সাথে সুমধুর একটা সুর,
শাড়ির আঁচলে লেপটে যায় মুখবিবর।
সাথে রথটা মৃদু মলয়ে দুলে,
ইশারায় ডাকে আমাকে,  
দৌড়ে যাই সম্মুখে,
আর হয় না দেখা মুখটা ঢাকা আঁচলে।

আলোক রেখা আস্তে আস্তে মিলিয়ে যায়
অদূর থেকে ভেসে আসে করুণ কণ্ঠস্বর,
পরিচিত কণ্ঠস্বর, ক্রমশ তা তীব্রতর হয়
তবে হাঁপানির মতো,
ফুসফুস করে বের হয়।
ধূসর মরুভূমি, তৃষ্ণায় পাগল আমি
জলের জন্য হাহাকার করে উঠি,
নেমে আসে নিকষ কালো অন্ধকার!


এরপর এক অচেনা জগৎ,
মুহূর্তে হারিয়ে যাই,
আর সেই চপলা মেয়েটি,
রথটি নিয়ে ছুটে চলছে পাহাড় পেরিয়ে-
ধরতে গিয়ে পড়ে যাই পাহাড় হতে,
চিৎকার করে উঠি।


সবুজে ঘেরা শহর,অন্যরকম অনুভূতি!
সাদা সাদা মেঘে সূর্যের হাসি,
অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি,
দৃষ্টি যেন দৃষ্টির বাহিরে,
মৃদু মলয়ে ছন্দে ছন্দে
এক বসন্ত বিলাপ করি।
আর ভাবি, কোথায় সে রথ, কোথায় সে সুর?
কোথায় অচেনা অদেখা সেই চপলা মেয়েটি?


অন্য রকম ভোর, জেগে উঠি সহসা
এক ইন্দ্রিয় অনুভূতি অনুভব করি,
অজানা আশায় ছুটে চলি,
মনের কোণে আহত হয়ে-
পড়ে রয় এক অদৃশ্য ভালবাসা।