সন্ধার আঁধারে জোনাকির আলোয়
                        জাগে কল্পনা,
বিধির সৃষ্টি যেন অপরূপ আলপনা।
মহাবিশ্বের সবকিছু রহস্যের অবতারণা
বিধির মহিমা জানতে লাগে,
                            শ্রেষ্ঠ ধারণা।
ধরিয়ার সকল জ্ঞানের সঞ্চিত জ্ঞানসিন্ধু
বিধির কাছে যেন এটি পরম বিন্দু।
সূর্যের আগমনে বিদূরিত আঁধার-
বিধি ছাড়া কে পারবে একে রুখতে পারার?
প্রকৃত যদি স্রষ্ট্রা হত নিজেই নিজের-
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর জেগে উঠতো ফের।
কেন এই অপারগতা প্রকৃতি স্রষ্ট্রার?
পারে না কেন এনে দিতে নির্মল সজীবতার।
বিধির আদেশে রূহ চলে যায়
                           সাত আসমান পার,
প্রকৃতি পারে না বাঁচাতে রূহকে আর।
বিধির অপার সৃষ্টি এই প্রকৃতি,
বলে অনেকে,“প্রকৃতি নিজেই নিজের সৃষ্টি”
শুধুমাত্র করে প্রকৃতিরই পুজা-
করে না এতটুকু বিধির সিজদায় মাথা গুজা।
বিধির সৃষ্টি মোরা আশরাফুল মাকলুকাত
বিধির সৃষ্টিতে নেই কোন আবস্বাদ।
সৃষ্টির কাছে নত শির, সৃষ্টির তরে পুজা
                             একি অপমান!
তবুও বিধি ক্ষমা করেন
                 কোটি কোটি জীবের প্রাণ।
বিধিই স্রষ্ট্রা, বিধি সবার রাব্বানা
বিধির তরে করি যেন
                    বিধির আরাধনা।
হঠাৎ করে শেষ মোর কল্পনা
মহাবিশ্বের সব সৃষ্টি বিধির আলপনা।
আকাশ ভরা তারকারাজী দেখে ভাবি-
                         একি সুশৃঙ্খল ঘর!
বিধির সৃষ্টিতে আছে যেন শ্রেষ্ঠ পরিসর।