জীবনের শুরু, জীবনেই শেষ
নাহি বুঝতে পারে মানুষ্য জাতি
আজি কেন মোরা?
ভ্রান্ত পথের মাঝে-
আহ্লাদে মাতি।
কান্নার আওয়াজে আওয়াজে
যে আসল এ ধরণীতে-
হঠাৎ করে সে, মোদের ছেড়ে
চলে যাবে,
চিরদিনের জন্য চিরবিষাদে।
ক্ষণে ক্ষণে মনের অগোচরে
জ্বলে উঠে ক্রোধের আগুন,
চিরদিনের ঘন্টা বাজবে!!
জানতে চায় না কেউ সর্বক্ষণে।
জীবনের শেষে কাঁদবে বসে-বসে
চোখের জল না ঝরে,
চোখ যাবে খসে-
শান্তির ছোঁয়া না পেয়ে
জীবন অতিষ্ট হয়ে যাবে।
জীবন যেন হবে পরশ পাথরে
চোখের পাতার ঘুম,
আজি কেন হারামে?
জীবনের সব স্বপ্নবিলাশ
পরে রয় আসলে বে-আরামে।
ধরনীতে এই সব কি?
যা দেখছি সবই তো মন্দাকারে,
জীবন্ত লাশের জীবন ফিরতেই,
ছুটে যায় সে-
ধ্বংসের খেলার
মরণ অন্ধকারে!!
যারাই করে জীবন উৎসর্গ
তাদের কর্মে,
বেঁচে থাকে তাঁরা,
মানুষের হৃদয়ে গাঁথা-
মর্মে মর্মে।
দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য নয়,
গর্বের জন্য নয়,
তাঁরা জীবন বিলিয়ে দেয়
জীবনের জন্য।
জীবনে জীবন চিনে,
যে চিনল না আর
কাপুরুষের মতো সে-
মরে বার বার।
যে মানুষ নয়, মানুষের আকার
নিজের জীবনটাকে ঠকাবে আবার।
জীবনে জীবন চলে যেভাবে
এসো হে মানুষ,
এসো মোরা ভাবি,
মোদের জীবনের জয়গান
গাইব কিভাবে?
রচনাকাল: ০১/০২/০৯