আকাশটা বেদনার নীলিমায় আচ্ছাদিত,
পাহাড়টা ঝর্ণায় খরস্রোতা আর শুভ্রতায় উদ্ভাসিত,
মাঠটা সবুজের সমারোহে সম্মোহিত,
নদীগুলো নৌকার পালে শোভাসিত।
শহর-বাড়ির জানালা ড্রিম আলোতে আলোকিত।
আর রাতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ,
শহরের রাস্তায় মোরা সোডিয়াম আলোয় অপরিচিত।
অপরিচিত হয়েও একটি ছদ্মনাম খুবই পরিচিত-
কাব্য কন্যা সে!
সে হলো কৃষ্ণকলি!
অবশ্য তার একটি নাম আছে।
থাক, সে নামে তাকে নাই বা ডাকি।
অমায়িক একটি কণ্ঠস্বর, নিখুঁত তার বচনভঙ্গি -
আমি তারে চিনি, অথচ জানি না।
জানতেও চাই না কোনদিন,
কেননা, জানতে গেলে যদি সে অজানায় চলে যায়!
চিনতেও চাই না, যদি সে অচেনা হয়ে যায়!
অপরিচিত আছে সে, অপরিচিতই থাক।
বেশ প্রাণচঞ্চল একটি কাব্য কন্যা,
নিখুঁত তার শব্দ চয়ন, গুটিগুটি ও আলাদা আলাদা-
কাব্য নিঃসৃত কণ্ঠ, বেশ মনোমুগ্ধকর!
যখন কবিতা আবৃত্তি করে, মনে হয়
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা অন করে দিই,
যেন তার কাব্যের শব্দগুলো ছন্দে ছন্দে স্পন্দিত হোক,
তার কণ্ঠ থেকে কবিতাগুলো মুক্ত হয়ে ঝরুক
যেন সে কবিতাগুলোকে মনেতে লালন করুক।
অপরিচিত হয়েও আজ যেন কত পরিচিত!
সে আমার কবিতার ও কাব্যের বন্ধু-
সে এক অনন্যা, কাঠ গোলাপের কাব্য!
মেঠো পথের পথিক, গোধূলীর লোহিত রক্তবর্ণ-
কংক্রিটের দেয়ালে চিত্রশিল্প, ক্যানভাসে সে এক
ভাবনার করিডোর, কাব্য জগতে নীলকণ্ঠামণি
কাব্য কন্যা, সে যে অনন্যা
কাব্য কন্যা, সে যে সম্পূর্ণা
কাব্য কন্যা, তোমাকে বলি
তুমি হয়েছো মোর কবিতার কাব্যিকময় বন্ধু,
তুমি যে কৃষ্ণকলি!
সে যে আমার বন্ধু!!
কাব্য কন্যা সে,
কাব্য কন্যা সে,
কাব্য কন্যা সে,
তুমি এক অনন্যা, তুমি কৃষ্ণকলি, তুমি কাব্য কন্যা।
******************************
রচনাকালঃ জুলাই ২৯, ২০২১ ইং
সময়ঃ শেষরাত্রি।
ব্যাপ্তিঃ ঘন্টা দেড়েক।
স্থানঃ বাড্ডা, ঢাকা।