আমি যখন ছোট ছিলাম,
লেখালেখিতে তখন হাতে খড়ি,
আশা ছিল বড় হয়ে কবি হব-
চমকে দিব বিশ্বকে,জানিয়ে দিব
আমার আকুতি।
আমি কি চাই? চাওয়ার যে শেষ নাই,
আমারও তো কিছু দেবার আছে!
প্রতিনিয়ত প্রশ্নগুলো-
দিয়ে যায় ভাবের ধারা,
লিখে যাই কবিতা।
আমি লিখি,কে যেন আমাকে লেখায়?
প্রশ্নবিদ্ধ মনে-
খুঁজে যাই তারই ঠিকানা।


খুঁজে পাই নিমিষেই-
মায়ের মিষ্টি বকুনি,আর শাসন,
বাবার ইস্পাতদৃঢ় আদর্শ,
যা  আমার কবিতা লেখার
বিশেষ অনুপ্রেরণা।


কালের বিবর্তনে,
নেমে আসে শোকের ছায়া,
দুঃখ কি বুঝিনি?
বুঝতে দেয়নি মা-বাবাও,


এভাবে আর কতদিন কাটে?
দুঃখকে সাথে নিয়ে-
পথ চলতে শিখি,
বহু কষ্টের হাতছানি,
আর জীবন সংগ্রামের মহানায়ক
হতে চাই আমি।
ছুঁড়ে ফেলে দিই-
কবির মনে লুকিয়ে থাকা
কবিতার ভান্ডার,অতঃপর
সংগ্রামে নেমে পড়ি।


যদিও জীবন-সংগ্রামে এই প্রথম,
ত্যাগ করতে পারিনি কিছুই,
তবুও মনে হয়-
ত্যাগের প্রতিক্ষায় নিমগ্ন আমি।
এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
মুক্তিযোদ্ধা কোঠায়-
চান্স পেয়েছিলাম,
সময়ের নিষ্ঠুরতায়-
আমি ভর্তি হতে পারিনি
পরের বার চান্সই পাইনি,
জীবন সংগ্রামে পরাজিত আমি।


কালের বিবর্তনে,
চাকরি করছি ,
আমার কোন দুঃখ নেই-
এই জন্য যে,ছোট ভাইকে
ভর্তি করিয়েছি জাবির চারুকলাতে।


আমার আশাও-
হয়েছে পূরণ,
আজ আমি হয়েছি কবি,
তাই তো আবদ্ধ জীবনেও
কবিতা উপহার দিচ্ছি।