“ও মা, ক্ষুধা পেয়েছে, দাও না একমুঠো ভাত
সহ্য করতে পারছি না আর”
মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদছে
আর বলছে ছেলেটি।
ছেলেটির বয়স কতই বা হবে?
বড়জোর আট। হাড়িতে চাল নেই,
উপার্জনের উপায় নেই,বাবাকে হারিয়েছে
জন্মলগ্নেই,ভরসার কোন বালাই নেই,পঙ্গু মা,
কি করবে সে কিছুই বুঝতে পারে না?
কত দিনই আর উপোস থাকা যায়?
একদিন,দুইদিন,তিনদিন নাকি আরো বেশি?
মায়ের অন্তর বেদনায় সিক্ত,
মুখে রুচে না কোন খাবার,
মাতৃস্নেহের এক করুণ দৃশ্যে।
এভাবে আর বসে থাকা যায় না,
ছেলেটি বেরিয়ে পড়ে পথে,
যে কোন কাজের সন্ধানে,
অবশেষে জুটে একটি কাজ,
গা ছমছম করার মতো অনুভূতি,
কুলির কাজ করে সে,
কতটুকু ওজন বইতে পারে সে?
পাঁচ,দশ,বিশ-নাকি আরো বেশি?              
এরও বেশি মালামাল তার কাঁধে,
শুধুমাত্র তার পঙ্গু মায়ের জন্যে,
আজও সে হাসিমুখে কাজ করে যাচ্ছে
তার কষ্টের জীবনে।