শৈশবের বালুচরেতে খেলতাম কত খেলা!
শৈশবের বালুচরেতে যেন কাটত সারাবেলা।
বালু দিয়ে সাজাতাম আনন্দের মেলা,
একি যেন আমার শৈশবের বেলা!
পাহাড়-ভূমি পেরিয়ে ছুটতাম শুধু ত্রিপান্তরে
সাঁতার কাটতাম নদীতে সুরেলা গানের মন্ত্রে।
শৈশবে ঘুড়ি উড়াতাম ছায়াঘেরা দিগন্ত মাঠে
ফিরত সবাই যখন সূর্য নেমে পরছে পাটে।
বর্ষার বৃষ্টিতে, শরতের প্রভাতে-
ফাগুনের সবুজে, চৈত্রের রৌদ্রে-
শৈশবে যেন ডাকছে মোদের মধুর আমন্ত্রণে।
শীতে খেঁজুর রসের হাড়ি থাকত না তো গাছে
এসব দেখে গ্রামবাসী ধাওয়া করত মোদের পিছে।
বাগানে কত না ফুল ফোটে আছে রঙের মেলায়!
শৈশবে চুরি করা ফুল নিয়ে ছুটতাম সারা বেলায়।
গাছে-গাছে কত না পাখি বাসা বেঁধে আছে!
শৈশবের স্মৃতিগুলো আজিকে চোখে যেন ভাসে।
দূরন্তপণায় হার মানিয়েছি কিপ্টে মহাজনের রীতি
এখনো কি সবার পরে না মনে শৈশবের স্মৃতি?