ক্লান্ত যামিনী, ঈক্ষনে নাই অনুভূতি ঘোর
পলকচূত্য নন্দিত স্বপন, শমন সারা ভোর ৷
ঘুরে বিনয়ের দেশে
মনে হয়েছিল শেষে,
সাতটি অমরাবর্তী, নয়তো বেহুলা সতী
তাকে দর্শিলে বাধসাধিবে সব নিশ্চুপ হবে নিশাপতি ৷


আর বেশিদিন নহে
স্বদেহ সন্যাসী কহে,
তার, ষোড়শী নহরের কুলখানি ধরি
রাজ বনিকেরা রহিবে ভরি ৷
তারে নিলামে কিনিবে হাজারো রত্নে,
নিয়ে যাবে কি জানো !
যে জাল বুনেছি জষ্ঠে যত্নে ৷
আমি মাঝি আর কি আছে আমার
দু পয়সার বেশি নেই পকেটে জামার ৷


দীঘল রবি পূর্ব কোণে পড়েনি ঘেরি
পতত্রি কুঞ্জন ও ঢের দেরি ৷
শুধু আমি নয়
বিজন এ ধরা বিস্ময় !
স্বপনে দেখিলাম যারে,
সেই পদ্মপুরিকা এলো দ্বারে ৷


ভগ্ন করি অনুচিত মোর যত
তারে পাইবার বাসনায় আমি রত ৷
কতনা, শবর্রী একাই হয়েছে পার
নয়ানে নাই নিদ্রা, ভাবনা শুধু তার ৷


কতনা মুগ্ধ মুদিত চিত্তে
সত্যা দিয়েছি যারে ৷
পেরিয়ে শত বাক্যঘাত
ঘুরেছি যার দ্বারে ৷
যতনা আমি তারে ডাকি
আমার পানে দিলনা আঁখি,
সেও ভালো যদি না চায় মোরে
খারাপ আমি ভাববোনা তারে,
সে দিন সকালে স্বপ্ন দেখেছি যারে ৷