দাসত্বপ্রথা বিলুপ্ত করেছে তোমায়
অহেতুক রক্ত মাংশের শরীর বয়ে বেড়াচ্ছ
তোমার পূর্বপুরুষদের মত।
যারা স্ববধীনতাকে দেখেছে,
নগ্ন নারীর যৌবন খেকো নরপশুর তালুর ভিতর বন্ধি।
যারা স্বাধীনতাকে দেখেছে শাসকের বুটের তলে
যুবকের ওষ্ঠ থেকে নির্গত লালা ও রক্তের ভিতর।
ফিরে যাও অতিতে,
তারা নিজ হাতে খেয়েছে ঈশ্বরের দেওয়া ভরসা
নিজেরাও করেনি উত্তরণের অাশা।
এদের ভাগ্য উপরশ্রেনিদের সিন্ধুকের মধ্যে তালাবন্ধ ছিল শত বছর, যতদিন না তারা একতাবদ্ধ হয়নি।
হৃদপিন্ডের স্থানে ছিল অসীম ভয় তাদের,
যতদিন না তারা জীবনের ভয়ে জীবন দেয়নি।
এবার ফিরে এসো বর্তমানে,
সূর্যের দিকে চেয়ে দ্যাখো, সেই পুরনো সূর্য
নতুন সূর্য উদয় হয়না কোনদিন
পুরনো সূর্যকেই তোমাদের অাকাশে উদয় করতে হবে অাবার।
একটা পিপড়াকে তুমি নিমিষেই পিষে ফেলতে পারো
ভাবো একদল পিপড়া তোমার দিকে এগুচ্ছে, পারবে পিষতে?
একটি কন্ঠস্বর তারা মুহূর্তেই বন্ধ করতে পারে
ভাবো যদি ষোল কটি কন্ঠস্বর এক সাথে অাওয়াজ তোলে?
একদিন তুমিও করবে অঙ্গীকার
বিশ্রী অার কর্কশ হবে মুখের ভাষা
সময়ের অবাধ্য হয়ে নামবে মিছিলে,
বিষাক্ত হবে নগর তোমার কন্ঠের স্পর্শে
সূর্য থেকে তৃব্যতা পাবে, অান্ধকার থেকে সাহস
একে একে একান্নবর্তী হয়ে উঠবে শহরের হৃৎপিন্ডের ভিতর।
স্বচক্ষে দেখবে অধিকার হরণের তামাশা
অতঃপর চোখের ভিতর বিল্পবের স্পুলিঙ্গ নিয়ে,
সাধারণ ভাবে বাচার দুঃসাহস তুমি করবে।
তুমি যতবার মরেছ ততবার জন্ম নিয়েছ নব রুপে
যেন জ্যোতির্হীন সভ্যতার উৎকন্ঠা কাটাতে
তপস্যারত এক বিস্ময় তুমি!
অাশা রাখ বুকে
বর্তমান তোমার বাধ্য হবে সকালের মত
তোমাকে শুধু মরে নতুন প্রজন্মে পদার্পণ করতে হবে
প্রজন্ম সময়কে পরিবর্ত করবেই।