সেদিন বাবা, মাকে আদর করেছিল
কোনো দিকে দৃষ্টি নেই, আমি ছিলাম একা।
নিবিড় অরণ্যে আরো গোপন কোনো নিড় থেকে
দূরের আলোতে পথ হারানো শিশু পাখি হয়ে।
একা পাথরের খেলায় পাথর সঙ্গী হয়--
খেলা শেষে তবু সঙ্গী নয় শুধু আঘাত জানে।
            সেদিন তাদের মধ্যে তর্ক হল অনেক
কোনো কথা নেই, আমি ছিলাম একা।
ক্রমশ ভাষা হারানো পৃথিবীতে বোবা নবজাতক।
ভিনদেশী যন্ত্রে সুর আনতে পারে না ক্রুদ্ধ বাঁশুরিয়া,
ঠোটের ব্যর্থ কোমল প্রচেষ্টা কামড়ে বদলে যায়--
অস্ত্র হওয়া যন্ত্র আবার কবে ঘুম আনতে শেখে।
               সেদিন ওরা ভ্রমনে বেড়িয়েছিল
কেউ কোথাও নেই, আমি ছিলাম একা।
লৌহচুম্বক মিশে দক্ষিন যাত্রা করে। উত্তর থাকে-
পিছনে আরেক উত্তরে দূরত্বের মরচে এনে দিতে।
সকল ধাতু নিজস্ব অভিকর্ষ খোঁজে অন্য ধাতুর টানে
মৃদু তাপে পরাস্থ টানে ভেঙে যায় চুম্বক বিকর্ষনে।
                 সেদিন বাবা, মাকে মেরেছিল
হয়তো মাও বাবাকে, আমি দেখেছিলাম একা।
নিকটের তৃণভোজী জন্তু হয়ে; দুটি আদিম মানুষের লড়াই। সভ্যতা নিজের অধিকার খোঁজে,
নিজস্ব পরিমাপে একা হয়, আদিম সভ্য হয়,
হয়ে ওঠে প্রাক্তন, জন্তু হয় মাংসাসী।
সেদিনের পর বাবা, মাকে তাড়িয়েছিল। দেখেছি,
বিধবারা স্নানে গিয়ে ফেরেনি, কলসবন্দী ডুব দিয়ে,
সন্ধানে পুরুষ ছাদে ওঠে, নামে দড়িতে গলা দিয়ে।
ঘরের একা কন্যা চিৎকার করে বেদনায় ঝলসে,
যেন জরায়ু চিরে আরেকটি কন্যা বেরোতে চায়;
বেরিয়ে আসে শূন্যতা; মৃত ভ্রুনে মায়ের জীবন।
আজ ঘরে কেউ নেই, আমি আছি পরিপূর্ণ, একা...