নির্জন ঘাসের অন্ধকারে দাড়ানো
শান্ত ময়দানের মতো
কচুরিফুলে অলঙ্কৃত একটি স্রোতহীন জলাশয়।
তার হরিদ্বর্ণ পোশাকের নিচে গুপ্ত তরল
সকলের চেনা;
গভীরে বেড়ে ওঠা চলমান মৎস্যের কারণে
মাঝে মাঝে জলীয় সবুজ ত্বক ফুলে উঠে
দৃষ্টি আকর্ষণ করে।


        এমন আকর্ষণে ধরা পরে একটি মাছরাঙা
জলে বসতেই, সকলে গুলি করে মারল তাকে।
আহত হয়ে সে দৃষ্টির সক্ষমতা ফিরে পেল--
যে সারসকে অনুসরন করে জলে নেমেছিল,
তার মৃতদেহ আগেই কবর দেওয়া হয়েছে।
কচুরি ভেদ করে তলিয়ে যেতে যেতে
দেখল আরও দৃশ্য--
গোপনে মাছ ধরে পানকৌড়ি উড়ে চলেছে,
একটি উভচর জলে দীর্ঘসময় চলার পর
ডাঙায় হাঁটছে নিশ্চিন্তে,
সরিশৃপ মিশে আছে খোলস আর রুপ বদল করে,
খোলকে মাছ নিয়ে কয়েকটি কচ্ছপ
স্থলে লুকিয়ে বসে আছে;
একজন ডুবুরিও রয়েছে, তলদেশ সুরক্ষার প্রহরি-
লোভী হয়ে সেও বর্শি পেতে রেখেছে।


         মাটির তলদেশে থাকা খরগোসের মতো,
সকলে গোপনে গাজরের প্রত্যঙ্গ খেয়ে চলেছে--
ফলে তারা জীবিত,
প্রকাশ্যে শিকারী মাছরাঙারা শুধু মৃত।
স্থলে বন্দুক হাতে দাড়ানো মৎস্যজীবিরা-
মাছরাঙা নিখোঁজ হওয়ার পর,
জলের হরিৎশূন্য-স্থানে
পুণরায় কিছু সতেজ কচুরিফুল সাজিয়ে রেখে গেল।


              (নারীবিষয়ক)