ছিন্নপত্র ওরাই বাতাসে;
কাকতাড়ুয়ার নগ্ন শরীর ভেঙে পরে ঘাসে
পক্ষী সমস্ত উড়ে গেছে ভবিষ্যৎ রচনায়।
নির্জনে নিঃসঙ্গ স্বাক্ষর আঁকতে হাত কেঁপে যায়
মুছে গেছে নিকটে মুদ্রিত ডাকনাম,
ফুরিয়ে গেছে মানুষ, যে দিত আমার দেহের দাম;
বাকি যারা আসে আমাকে সাজায় দ্রৌপদীতে
ফুরিয়ে যাই, তাদের সমস্ত দাম দিতে দিতে--
প্রেম না পেয়ে অসুস্থ এক এমনি আমি দ্রৌপদি।
সন্ধান করেছি যদি,
দেখি শুধু আমি আছি, যে আদর দিয়ে যায় আমাকে
একটি ঔষধি চুম্বন দিতে যদি মানুষ না থাকে,
তবে অসুখ মনে হয় এই ঋতুর জ্বর;
তবে ব্যর্থ হয়ে ঘর;
ব্যর্থ এই সংসার;
এ এক নগ্ন প্রেমে ব্যবহৃত দেহ নির্জন কাকতাড়ুয়ার
সমস্ত রাতের কাক তার চেনা--
দিনের কোনও ডানা তার পাশে থাকেনা।
এই জীবন বড়োই আবর্জনা
কোন দেহে আরক নেই, কোনও রূপ সৌন্দর্য না;
পথে সব শেষ, গতিহীন পরিচিত দরজায় হাটাহাটি
জীবন স্তন হারানো শিশুর হাতে মিথ্যা দুধের বাটি-
আর একাকী ক্রন্দন তার সারারাত।
অসুখ পরিমাপে আর আসে না পরিচিত হাত
আসে অপরিচিত পারদ, মেপে যায় বেড়ে ওঠা একশো ডিগ্রি উত্তাপ;
বেড়ে ওঠা রক্ত চাপ;
উগরে আসা উষ্ণ রক্তে ভ'রে যায় মুখে ধরা পেয়ালা
সবথেকে গভীরে এক অদ্ভুত ভয়ানক জ্বালা;
যেন মৃত্যুর যন্ত্রণা আরও কিছু নতুনত্ব খোঁজে
যত অদ্ভুৎ কথা লেখা সম্ভব নয় এই অদ্ভুৎ কাগজে
যে কাগজে সমস্ত সৌরজগৎের বর্ণনা করা আছ দান
সেই কাগজে নেই সামান্য মানুষের সন্ধান;
যে কাগজে চুক্তি, ক্রয়-বিক্রয় হয় যব গ্রহ নক্ষত্র
সামান্য উত্তর আনতে পারেনা সেই পত্র;
নিরুত্তর শূন্য চিঠির মতো ফিরে আসে
ব্যর্থ এই লেখা, পুড়ে যায়-ছিন্নপত্র-ওরাই বাতাসে।