এই শহর আমার চেনা
আমাকে কেউ গ্রহণ করে না
এক অনাথ শিশু আমি এই অনাথ আশ্রমে...
আরও অনাথ হই ক্রমে
যখন শিশুহারা অনাথ সংসার এসে--
একটি শিশু কিনতে চায় অতী ভালোবেসে,
তাদের প্রথম পছন্দে ছিল অন্য এক শিশুর নাম;
হয়তো দ্বিতীয় বা তৃতীয় পছন্দে আমি ছিলাম,
তারা কিনবে না আমায় কম দামেও পেয়ে--
আমি বালক নই একটি মেয়ে,
তাদের কাছে সমাজের কলঙ্ক রুপে চেনা
আমাকে কেউ গ্রহণ করবে না...


বছরের পর বছর কেটে যায়
আরেকটি মেয়ের বিষন্নতা ও নিঃসঙ্গতায়,
আমারই মতো সাবালিকা সে কোঠাঘরে পালক
দত্তক নেওয়া বালকেরা হয়েছে সাবালক
দত্তক নিতে আসে কোঠাঘরে
নগ্ন রুপে বারঙ্গনাকে কেনার দাবী করে।
কিছু ভালো দাম,
ক্ষনিকের মিলন প্রণয় আরাম
মুহূর্তের বিবাহ আলাপ পরিচয়;
মুহুর্তেই আবার অপরিচিত হয়;
তার আঁচর কাটা মুখ সকলের চেনা
তাকে কেউ গ্রহণ করবে না...


বয়স আরও বাড়ে বছরের থেকে
গুনে যাই গ্রহন হয় কে, বর্জ্য হচ্ছে কে কে।
দত্তক নেওয়া বালকেরা হয়তো পুরুষ হয়েছে আজ
আশ্রম ঘুরে ঘুরে তাদের দত্তক নেওয়া কাজ,
তার পছন্দ খোঁজে অনাথের ভিড়ে কে বেশি পরিণত
পুরুষকে নয়, খোঁজে মেয়ে ঠিক আমারই মতো।
তবে এবারের দত্তক আরও মূল্যবান
এবার নীজেকে বেঁচার জন্য অর্থ দান,
নীজেকে বিক্রি করার পণ-
আবার মিলন-সুখ-অসুখ, আবার নির্যাতন--
যন্ত্রণা-সন্দেহ, ভাঙে দেহ হৃদয় অঙ্গ।
সম্পর্ক ভেঙে যায়, আবার যে অনাথ নিঃসঙ্গ
তার বিধবা মুখ সকলের চেনা
কেউ তাকে গ্রহন করবে না।