সে সময় জানত আগে
            আমি তার হাতঘড়ি,
সে তো পূর্ণরুপে হতে পারল না
ঘড়ির বন্ধনীতে আঁকড়ে থাকার মতো কোনো হাত-
যে হাতের রক্তচলাচলে আমি বেঁচে থাকি।


সে শুধু সময় জানত আগে
                আমি তার হাতঘড়ি,
সে তো পূর্ণরুপে হতে পারেনি আজও
ঘড়ির কাটায় আটকে থাকা চোখ
যে চোখ দর্শনের প্রতিক্ষায় কাঁটা চলে আমার।


সে জেনে যায় আজ সূর্য উঠেছিল কখন
তার ফেরার মুহূর্ত, আমি বলে দিতে পারি;
          শীতের সূর্য ডুবছে সাড়ে পাঁচটায়
অথবা শীত আরও কমবে কাল
       ডুবতে পারে পাঁচটা একত্রিশ মিনিটে;
সে হিসাব চায় আরও দূর ভবিষ্যৎের সূর্যের খবর
যতদূরের প্রতিক্ষা আমার যন্ত্রে মরচে আনতে পারে
আমি চেয়েছি সময় দেখার মতো মানুষ
        পেয়েছি সময়ের কঠিন হিসাবি-গভেষক-
হতে চেয়েছিলাম শুধু
আমি তার হাতঘড়ি
     যার কাছে সে সময় জানত শুধু
            আজ সে চায় ভবিষ্যৎবানি...


যে ভবিষ্যৎ সন্ধানে-
      হাত চলে যায় সুদূর ভবিষ্যৎের দূরত্বে,
ঘড়ি প'রে থাকে নির্জন টেবিলে
সে তো জানে না দূরদর্শি বড়ো জটিল কাজ,
যতদূরে আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পারিনি
যতদূরে সে দেখতে পারে না আর ঘড়ির কাঁটা..