ফরাক্কা থেকে মুগ্ধতাকে ভাসিয়ে দিলাম জলে
নোঙ্গর তারা করলো গিয়ে, তোমার মনের অকুস্থলে।
কাল সারাদিন এক মনে চেয়ে দেখেছি ঊর্মি মুখর-
অলকানন্দার বুকে, নিরঞ্জন ঋচীকাংশু কেমন খেলা করে।
তোমার বুকে একবার যদি আমিও অমনি ভাবে...



তোমার এলান সিক্ত কেশ, ঘনবীথি পথে, ঘনঘোর
কাজ্জলি বলাহক যেন, দূর হতে দেখি ঐ ভেসে আসে;
তোমার অভিবৃষ্ট কুন্তলিবারি, টুপ টুপ করে, ঝরে ঝরে পড়ে
শীতল শবনম বেশে। আমার মনে হয় মহাজাগতিক নক্ষত্র বর্ষণ-
তোমার উক্ষণ কৃশলা বাসের আবেশে জড়বৎ স্থানু হয়ে যাই।



তারপর একদিন, গেছিলাম ধেয়ে তোমার বাড়ির পথে, কি করে;
জানব আমি, প্রেমেরও সীমানা হয়! আমার নিথর শরীরটাকে
বি.ডি.আর. পুতে দিল বুড়িগঙ্গার চরে। আমাকে খুঁজে ফেরে নদীর ঢেউ,
জানি! তোমার এখন অন্য কেউ... সীমানার তারকাঁটায় বেঁধে ঝুলে থাকা-
আমার হৃদয় থেকে এখনও রক্ত, চুঁইয়ে চুঁইয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।।