গভীর ঘুমে ডুবে আছে কোলকাতা শহরের ফুটপাত,
ধীর লয়ে হেঁটে চলে এক নিশিকণ্যা হাতে ধরে অন্ধকারের হাত।
       ক্লান্ত শ্রান্ত তার পদচারনায় মনে পড়ে যায়     বনলতা-
অবিন্যস্ত বেশভূষা, আলুলিত কেশ তার- কেন এত ব্যাকুলতা?
       বিলাশ বহুল শকট এক তারই পাশে এসে থামে;
ষন্ডামার্কা গোটাদুই, সুবেশী সুপুরুষ এক, তাদের বাহন হতে নামে।
       বিস্তর কথা কাঁটাকাটি, আমি রাত পাখি চুপ করে শুনি,
বোঝার চেষ্টা পাই, তাদের কথপোকথন- সব বুঝি শুনি আর শুধু প্রমাদ গুনি।
       তন্বীকে বোঝাবার ব্যার্থ প্রয়াস, অতঃপর যুবকদের বাহুবলে-
অ্যাসিডে মুখ চেনা দায়, টুকরো টুকরো দেহখানি নিমজ্জিত হয় নর্দমার জলে।
        খুন হয়ে যাওয়া সেই তন্বী তরুণীর ভগ্ন হৃদপিন্ডখানি
বারে বারে ভাবে, ধুসর অতীতের কিছু কৃষ্ণকালো স্মৃতিরে আনে  টানি।
        বৃত্তবান প্রেমিকের লিপ্সায়, তুতের শরবতে সেও খুন করেছিল-
তার পুরোণ প্রেমিক। আজ কি তবে প্রেম ! তার সেই  প্রতিশোধ নিল।