চণ্ডী দাসের খুড়োর কল সবার আছে জানা,  
কয়েক মাইল পার হওয়া যায় সামনে রেখে খানা।
কিন্তু এখন মটরগাড়ি ছুটছে  আরও বেগে,
কেউ ক্যামেরায় পড়ছে ধরা  কেউ যাচ্ছে ভেগে।
রাত্রি বেলায় সুরার নেশায় তাল থাকেনা মোটে,
গাড়ীর তখন পাখনা গজায় আকাশ পানে ছোটে।
ভাঙছে গাড়ী, মরছে মানুষ হচ্ছে কতই জখম-
পড়লে ধরা ঘুষটা বাড়ে  একটু বেশি  রকম।
আইন আছে নিজের মতই চোখ খানি তার বাঁধা,
নানান পথে ঘোরায় তাকে  লাগায় গোলোক ধাঁধা।  
অনেক ভেবে কল করেছেন বিপদ ভঞ্জন বিশি -
এনার বোন চণ্ডী দাসের ভায়রা ভাইয়ের পিসি।      
যা হোক তবে কল টা  বলি ভীষণ রকম সোজা,  
ঘোড়ার ঠুলির মতন একটা কানের পাশে গোঁজা-  
ডাইনে বাঁয়ে কায়দা করে বাড়ির ছবি সাঁটা-
দেখবে চোখে  সরু গলি যায়না তাতে হাঁটা।
সেই গলিতে ঢুকতে  যাওয়া নয়কো সহজ সাধ্য-
হোঁচট খাবে ভেবেই গাড়ীর কমতে গতি বাধ্য।
তাতেও যদি কাজ না হয় চিন্তা নেইকো মোটে,
গাড়ীর গতি কমাতে তার হাজার বুদ্ধি ঘটে।
এক খরচায় সবাই পাবে দুটি ছবি  ফ্রি,
নাকের সামনে ঝুলিয়ে  নিও বাম্পার বা ট্রি।
এমন কীর্তি সচরাচর  যায়না দ্যাখা ভবে।
চণ্ডীদাস কে রাখবে মনে ছেলে বুড়ো  সবে।