আমাদের বাড়ির কাছে ছিল একটা খালি-বাড়ি-
সেই বাড়ির সামনে–পেছনে, দক্ষিণে-বামে
ছিল অনেক গাছ-গাছালি ।
গাঁয়ের ছেলেরা কেউ কেউ গাছের মগ ডালে গিয়ে
দোলা খেত; বসন্তের গান ধরতো ।
আমের দিনে, গাছে ঢিল ছুঁড়তো ;
কিন্তু সন্ধ্যা হতেই সুনসান !
দিনের বেলা মেয়েরা কেউ ওখানে যেতো না ;
কিন্তু, সন্ধ্যা হতেই কান পেতে শুনতো-
কখন তক্ষক ডাকে...


আমি এখন শহরের একটা ফ্ল্যাটে থাকি;
সেই ঘরে সারাদিন আমি ছাড়া আর কেউ থাকে না ।
ছেলেমেয়েরা থাকে দূরে ; আর অন্য যে প্রাণীটা
রাত্তিরে থাকে সে আমার স্বামী ;
সকাল-সকাল বাইরে বেরোয় সে- ফেরে সন্ধ্যার পর;
দিনের বেশীর ভাগ সময় নিজেকে নিয়েই থাকি;
চুপচাপ এটা-সেটা করা ইত্যাদি...
সন্ধ্যায় বাইরের কোলাহল থেমে এলে
জানি না কেন- ব্যলকোনীতে গিয়ে
নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে
প্রকৃতির সেই বিরল প্রাণীটির মতো
এক বার ডাকতে ইচ্ছে করে- কহ্ কে...


(রচনাকালঃ ২৬-০৭-২০১৭।)






.