ভাঙার খবর রটে গেছে শহর ছেড়ে গ্রামে-
রসদ-আদেশ পেলেই ভাঙবে ওরা হরদমে  ।


গাঁইতি-শাবল-ডজার-ডিনামাইট থাকলে
ভাঙার কাজ তো কঠিন নয় মোটেই, আসলে ।
লোকও তেমনি তৈরী আছে কাজের আশে,
একটা সঙ্কেত গেলেই যেন উড়ে চলে আসে ।


বাসাংসী জীর্ণানি যথা-
ঘর-বাড়ি, পথ-ঘাট, সমাজ, প্রথা,
রীতি-নীতি, সুর-ছন্দ-তাল প্রভৃতি
এসবের আছে একটা জন্ম, আছে লয়
তাই ভাঙার আগে আগ-পাছ দেখতে হয় ।
'বিকাশের পথে অবলুপ্তি
               আর অবলুপ্তির পথেই বিকাশ'-
ভাঙা-গড়ার এ সহজ ইতিহাস-
না জেনে ভাঙতে গেলে
দাঁড়াবে কোথায় ভাঙার শেষে ?
ভাঙার পর হামেশাই থাকে একটা ডর-
মধু-ভাণ্ডে এসে বসবে কখন সুবিধে-খোর ;
এবড়ো-খেবড়ো ভাঙা দেখলে তো পাশের লোক
উগ্রপন্থা-কলাপ বলবে ; 'তছনছ করলে'-
বলেও বকবে, 'রে মুর্খ ভাঙাও শিখতে হয় !'


ভাঙা-গড়ার আগা-গোড়া  
আয়ত্বে এলে তবেই না ভাঙা অপরূপ হয়
                   সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ।