আউস ধান কাটা শেষ- পড়ে আছে বাবুই পাখির বাসা
সুপারীর পায়ের পরে ; হায় রে !  কবে যে ফুরায় ভালোবাসা !
কোকিলছানা কেঁদে জাগে দাঁড়কাকের বুকে- তাই আমলকী বন
কেঁপে ওঠে হঠাৎ; দূরের হিজল বন রূপ দেখে তার- জলে-
দুপুরের দীর্ঘ-শ্বাস জমে আছে আঁধার তমাল তলে ;
মেঘ নেই আকাশে, সূর্য্য জ্বলে.. শালিকের ভাঙা স্বর
নিমের ডাল হ'তে নেমে আসে ; বউ-কথা-কও'টি আর
কয় না কথা- মুখ খানা কেন তার ভার ?  


এইসব জানিয়াছি আমি...বাঁজে না কেন আর রাখালিয়া বাঁশী
মধুর সুরে ? বিশাল 'দেবীর মাঠ' ফ্যেকাশে ; ধানের বুক
চুষে খায় পঙ্গেরা ; বসে আছে নতুন চাষাটি গালে হাত রেখে,
ধুধু করে দূরের বাঁক, বেড়া- জারুল-পারুল বন ; রুকনির নীরবে
বহে যায় ধীরে- দেখিনা সেই কিশোরীটি গাগরী কাঁকে ক'রে-
বাঁশ-বন দুই তীরে কাঁদে-আর শুধু প্রতিধ্বনি ওঠে সেই ছাঁদে-


(রচনা কালঃ ১৯৯০ ও  ১৯-১০-২০১৬।)




'