হাজার বছর পর-
    সেই গাঁঁয়ের পথ ধরে
          ফিরছিলাম আমি এক রাতে-
আম-জাম-কাঁঠাল-জারুল
দাড়িয়ে রয়েছিল চুপচাপ যার পাশে-
শান্ত নীরব চুণাটি ডহর ;
মাথার প'রে পাণ্ডুর চাঁঁদ
         ছাতার মতো পাতার ফাঁঁক দিয়ে
রেখেছিল তার শীতল করুণ হাত ।
''বাবা ! কতকাল পরে এপথে
দেখছি তোমায় আবার..''- কোন পথিক
বলে ওঠেছিল স্নেহে (ঝুঁঁকে এসে কাঁঁছে)
                    শীতের আধো-অন্ধকারে !
শিরীষের পাতা তখনও ঘন ঘুমে-
কৃষ্ণা চতুর্থীর ম্লান জোছনা
             ফেলেছিল তার ছায়া নদীর চরে ।
টুপ..টুপ.. শিশিরের ফোঁঁটা ঝরেছিল অবিরল
                    শান্ত-শীতল শেওড়া বনে ।
স্তব্ধ দেবীর মাঠ ডেকেছিল আমায় ইশারায়
(যেমন ডাক দিতো সেই কত কাল আগে)
নিয়ে যাবে বলে কোন কল্প-কথার দেশে !
হঠাৎ লক্ষ্মী পেঁঁচা কোন্ এক-
মেলেছিল তার ধূঁঁসর ডানা, শিমূলের ডাল হ'তে-
শুধু কুয়াশায় ঢাকা রুকনি বিধবার মতো
                     চলে গেছিল ক্ষীণ পদে..


এখনও চোখে ভাসে সেই মোমিন পাণ্ডুর রাত-
শ্রীভূমি তার সন্তানের তরে জাগরূক !
হয়তো জেগে ওঠেছিলো ঘুম থেকে সহরুক-
কাঁঁঠালি চামে যবে লেগেছিল মৃদু শিহরণ-
                               হিমেল হাওয়ায়..
ঘরে ফিরছিলাম- দিনের শেষে, শেষ খেয়ায়-
মনে পড়ে, শিয়রের ক্ষীণ প্রদীপ জ্বেলে
তুমি মা রয়েছো জেগে আনকাজে ।


(রচনা কাল: ১২/০১/২০১৬ ।)
© পিসিএস ।