সখী তিন- টিফিন শেষে
ফাঁকা দুই ক্লাসকে রেখে
গেছিলাম সেলফি নিতে
পাশের ঐ চায়ের ক্ষেতে।
তুলি তার রেশমী চুলে
বেঁধে সে গোলাপ তুলে;
মৌলিও  সুযোগ বুঝে
চশমাটা রেখে গুঁজে
মাথার ঐ কার্লি চুলে...
চড়ে সে টীলার মাথে
দাঁড়িয়ে একই-সাথে  
রেডি- ওয়ান, টু... বলে
সকলে যেই সাড়া দিলে
আমিও ব্যাস- মৃদু হেসে
'একটা স্মাইল' বলে, দিই-
ক্যামেরার বাটন টিপে ।
অমনি শাট করে ফোন
কেমন উঠলো বেজে!
বাজল তো এমনি বাঁজা-
হল কেমন সকল সাজা !
বেলেন্স  বিগড়োলে পরে
শোনা গেল শোরগোলে  
ও বাবা রে ! ও মা রে !
দেখি আমি- পরক্ষ্ণে  
পড়ে আছি চা'এর ঝুঁপে ।
কোন ক্রমে ফোনটি খুঁজে
এলেম যবে- পথের পরে
তুলি বলে- তার হাঁটুর কাছে
কী যেন আটকে আছে !
সিহরিয়ে চেঁচিয়ে কহে-
কে আছো, বাঁচাও মোরে !
ধরেছে  চীনা জোঁকে!
আমি বলি ক্ষেপে গিয়ে
দুত্তর ! শেষে লোক হাসাবে-
এই বুঝি গো, ইচ্ছা তোর !
থাম না একটু  চুপ করে;
ভরসা রাখ আমার পরে ।
এই বলে তার ব্যেগটি খুলে
নিই হাতে এক রুমাল তুলে।
কথা শুনে মৌলি এলে
দাঁড়ালে তার ওড়না মেলে।
সাথে-সাথ এক এক করে
রুমালে জোরসে ঘঁষে
ফেলি জোঁক পাঁচটি ধরে!
তারপর- সেথা ইতি টেনে
ক্লাশে চলি সময়-মেনে।
ফেরার পথে, বলি হেসে
গলাটি একটু কেশে
ও তুলি! আসা যে হ'ল মিছা!
যাবে গা- ফের চা-বাগিচা ?
বলে সে- হাঁপটি ফেলে  
ভাগ্যিস- তুই ছিলি বলে
বেঁচে গেছি কোন মতে ;
তার পরও- সেলফি নিতে !
আর কখখনও  না- বাবা !
ঐ ঘোর আমাজনে !
এই আমি দিলেম কথা
যাব না গো ফের হপ্তা-
রইল এ নাক খপ্তা !


রচনাকালঃ ৩০-১০-২০২০।
THUMATS.





.