(পর্ব- ১’এর পর)


সাইড-ব্যাগের একটি পাশে
লিখা ছিল আমার নাম ফেব্রিকে ;
আন্দাজ করছিল সে- না দেখার ভঙ্গিতে ;
কথা শুনে, ফিরিয়ে নিলে মুখ সে
ফিক্‌' করে হেসে ।


ততক্ষণ ওর মানি ব্যাগটা ছিল নিজের হাতে
রাখলে তা বাঁ’পাশে
পড়া যায় নামটা যা’তে ;
পলিইথিনের একটা স্বচ্ছ পাতায় ঢাকা চিরকুটে
নীল কালিতে লেখা- মধুশ্রী;
      তা লাগলো- সুশ্রী,
                      বটে।  


যখন বাহির পানে চেয়ে চেয়ে সে-
খ্যাল করছিল গড়তে যাওয়া দুপুরটারে
বললেম আমি, মৃদু করে–
‘‘যে কথাটি মনের কোণে নিত্য থাকে আঁকা
সে-কথাটি থাকে কেন এতই করে ঢাকা...’


কণ্ডাক্টারটা ছিল পাছে
কথাটা ফুরোতেই এল কাছে
তখন লাগছিল বড়ই বাজে-
দু’ আঙুল তুলে- তিন টাকা দিলেম হাতে
বললেম- আমি নামছি, ও যাবে টাউনে ।
মধু আপত্তি করলে, বললে- সে দেবে।


একটু পরেই বাস এল মেডিকেল-স্টপ’এ
দেখি লোক উঠছে পালে পালে-
বললেম- মধু, এবার আমাকে নামতে হবে ।
মিষ্টি হেসে, সে চেয়ে রইলে চোখ মেলে ।
‘পরে দেখা হবে’- বলে আমি পড়লাম নেমে ।


(রচনাকালঃ ০৭-০৮-১৯৯০।)
© পিসিএস ।





_________________________
বিঃ দ্রঃ  ১৯৯০'র দশকে প্রকাশিত কবিতা ।