পায়ের প্রান্তে ছিল একটা ক্ষত-
           যন্ত্রণায় আমি নিদ্রাহীন ;
শিয়রে ক্ষীণ প্রদীপ-
আর এপাশ-ওপাশে ঘুরছিল
        তেল-তেলে আরশোলা-
                      গা ঘিন্ ধরা  !
ভাইয়েরা তখন শিক্ষানবিস
ঘরে ফেরার পাচ্ছিলো না'কো অবকাশ ;
আর তুমি- নিজ ঘরে খিড়কির অদূরে
                মগ্ন গভীর ঘুমে ;
কৃষ্ণা চতুর্দশীর পাণ্ডুর চাদরে মোড়া
পৃথিবীটা তখন যেন মৃত্যুপুরীর
                    হাহাকারে ভরা !
আকস্মাৎ অন্ধকারের বুক চিরে
কোন উড়ো-জাহাজ যুদ্ধবাজ
       মনের কোণে ফেলে যায়
               তেজময় ধোঁঁয়াশা !


এখনও আমি দুঃস্বপ্নে জাগি
স্মৃতিগুলো তাই মনে আনে দ্বিধা-
           হবে নাকি আবার নাগাসাকি ?
প্রযুক্তির জয়মাল্য এখনও দেখি
ওদের হাতে যারা লুকিয়ে রাখে
ধ্বংসের রসদ মালার সুতোয় বেঁঁধে !


হায় ! দেখে দেখে ভয় হয়-
বিক্ষত যে পৃথিবীর বুক !
ইরাক-ইউরেশিয়া আজও ধুমায়িত ;
উত্তর কোরিয়ার সুমুখে এসে
  এবার দাড়াবে কি তারা মিসাইল হাতে-
           তারা-যুদ্ধের সক্ষম সেনানী ?!


অবাক করবেই-টা বা কা'কে ?
ধর, যুদ্ধের শেষ-  জনহীন চারিদিক ;
শুধু দাড়িয়ে আছে সেই
          তেল-তেলে আরশোলা
'বিকিরণ-নিরোধক' দেহে-
স্থির তার দু'খানা এণ্টেনা-


শ্রান্ত ও নিস্পন্দ !


(রচনাকালঃ ২০১৫ ।)
© পিসিএস ।



.