সুমুখে  অথৈ  সাগর  অবারিত  জল ;
তৃষার গণ্ডুষ-বারি  কোথা  ওরে বল !
জীবনের  দীর্ঘ-পথ পাড়ি দিয়ে শেষে
সমুদ্র সৈকতে এসে মরি বুঝি ক্লেশে !
তৃষায় ফাটিছে ছাতি তবু  সিন্ধু  দিতে
নারে বিন্দু-সম জল ; শত শঙ্কা চিত্তে
করি,  খুঁজি দিকে দিকে ; চরণ যুগল
চলৎ- শক্তি-হীন, বুঝি হইবে বিকল !


অদূরে  পশ্চাতে ছিল গোয়ালিনী এক ;
কহে- যাও  হে পথিক, শুনিয়া ক্ষণিক !
নিকটে  পালার   স্নেহ-দুগ্ধবতী  অতি ;
আপাত  নির্জল  তবু  ধরে  প্রতিশ্রুতি ;
দুই তীরে  গ্রামগুলি  পুষ্ট  তারে  ধরি ;
নিশ্চিত  মিটিবে তৃষা, চল  ত্বরা করি ।


অবশেষে পেনু  জল  কুটিরেতে  গিয়া
টামলারে জল  পানে শান্ত হ’ল হিয়া ।


(রচনাকালঃ ১৬/০৪/২০১৭
ও ২৩/০৫/২০১৭।)




_______________
* পালার দক্ষিণ ভারতের একটা
অন্তঃসলিলা নদী ।


** কাব্য: শ্যমলী মায়ের কোলে ;
গ্রন্থ: তুমি  এলে  বলে ;
কপিরাইটস্ : © ২০২০ পিসি ।