এক পেগ হুইস্কি,
সুন্দর কাচের গ্লাসে ঢালি।
চুমিতেই তোমার কথা মনে পড়ে
সে আর কেউ নয়,আমার তুমি।
অতীত বড় ভাবায়
পুরান স্মৃতি মনের কোণায়
প্রথমে দেখি তোমায় বসন্ত মেলায়
তুমি অষ্টাদশী, আমি প্রায় একুশ ছাড়ি।
দিনটা ছিল রোববার
পরনে তোমার গোলাপী চুড়িদার
মুচকি হেসে চেয়ে আমার পানে
কি যে ভাবলে, জানিনা তা তখনে?
অজ্ঞাত প্রণয়ের পরিণতি
ভালবাসার সূর্য করে ঝিকিমিকি
চুপি চুপি দেখা করি সিনেমায়
তারপর জানল সবে, হল মোদের পরিণয়।
হলে তুমি অর্ধাঙ্গিনী
তোমারি ভালবাসায় করলে ঋণী ।
হাতে হাত রাখি শপথ করি
সুখে-দুখে রব একসাথে চিরদিনই।
অফিসের ব্যাগ তুলি
প্রত্যহ সকাল ন’টায় চলি
ভীড় ট্রেনে করে ঠেলাঠেলি
রাত ন’টায় অফিস হতে বাড়ি ফিরি।
দেখে তোমারি মুখ
মনে জাগে অতীব সুখ
ভুলে যাই সারাদিনের ক্লান্তি তখনে
প্রশান্তির শান্তি আসে তব কোমল স্পর্শনে।
এরূপে কাটে বহুকাল
চন্দ্রিমার আলোয় ঘর ভরে
কষ্ট হলেও তোমার মুখে হাসি
জন্ম-জন্মাতরে পাবো কি তোমার মত প্রেয়সী?
আরেক রোববার আসে
চারিদিক অন্ধকার, সূর্য অস্তমিত
হাতটি ধরে বললে তুমি পারি না গো,
ভীষণ কষ্ট । গা তোমার পুড়ছে জ্বরে।
তখনই আমি চললাম
ডাক্তার ডাকতে ক্রোশ দূরে
রাত ন’ টায় ডাক্তার আনলাম শকটে
কোরামিন ইনজেকশন দিল পুরে তোমার দেহে
ধীরে ধীরে অশ্রুধারা
নামছে তোমার চিবুক বেয়ে
ক্ষীণ স্বরে ডাক্তার বলল মোরে
দেরী হল সনাতন,নেই কোন লক্ষণ
তোমার চোখের ইশারায়
ডাকলে আমায় তোমার কাছে
তুলে মোর হাত রাখলে মাথায়
দু’চোখ ছল ছল,কোন কথা বললেনা।
অপলকে আমার পানে,
থাকলে চেয়ে খানিক ক্ষণে।
মুদল নয়ন কিছুক্ষণে,কভু খুললো না
বিদায় নিলে চিরদিনের তরে,কথা রাখলেনা।
এক পেগ হুইস্কি,
তোমায় আবার মনে পড়ায়।
বুক ফাটায়, অকাতরে নিঝুমে কাঁদায়
আজ সে আমার সাথী,তোমারি লাগি।