‘ইথার’, আমি এসে গেছি---------
হাজার বছর ধরে মিশরের ধূসর বালুকাতে
ঘুরতে ঘুরতে নীলনদের পাশ কাটায়ে
পিরামিডস্থিত কাফনে ঢাকা মমির ভিতর
তোমার “নেফারতিতি”র দেখা না মেলায়
আমি রড় ক্লান্ত।


তাইতো আমার পথচলা বিশ্রামের খোঁজে,
দু’দন্ড শান্তির লাগি—
সাঁঝের বেলাতে তোমার প্রতীক্ষায়।
সেই অখ্যাত “কোপাই নদী”—যে হল বিখ্যাত কবি গুরুর ছোয়ায়—
তার ঠিক পাশের গায়ে
ছায়ানদের তীরে বৃক্ষচ্ছায়ায়
বসে আছি  নিরালায়।


তোমাদের তৈরী বিদ্যুতের আলোর প্রবেশ মানা।
ধুঁকে ধুঁকে জ্বলছে হারিকেনের দেউটি।
তাইতো তোমার দেখা হয়নি
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে
পড়ে থাকা পর্ণ কুটিরের মধ্যমণি -
আমার কৃষ্ণকলি—সাঁওতালের কন্যাকে।


এসো না বন্ধু, এখানে বেড়িয়ে যাও।
এঁকে দাও পদচিহ্ন এই তটভূমিতে—
কিন্তু এনো না তোমার ব্যবচ্ছেদের  ছুরি!
মেঘাবৃত সুবিমল এ মোর তীর্থভূমি
থাকুকনা অনুন্মোচিত—


সঙ্গে আনতে ভুলনা কিন্ত  
কলকাতার বুক থেকে এক বাক্স ক্ষীরভরা
নলেন গুড়ের সন্দেশ-
সঙ্গে এনো তোমার কাঠিন্যযুক্ত অফুরন্ত শব্দমালার ভান্ডার আর  
নক্ষত্রপুঞ্জের  ইতিকথা।

সহজ সরল নরম কথামালায় আমি শোনাব
আমার কৃষ্ণকলিকে।
ও ভাষাটা এখন ও রপ্ত হয়নি তোমাদের
আর পারলেও হয়ত বলবে না ---
কারন তোমারা শিক্ষিত ---
প্রখ্যাত কলেজের ছাত্র--
বনেদি ঘরে জন্ম তোমাদের ।
জাতটা চেন ভালোকরে ---
দুঃখ শুধু একটাই চিনলেনা মানুষটারে!!