জগৎ ভুলে সকল ফেলে তোমায় পাবার আশে
সোনার ফসল ফলার তরে, নিরত আমি মানব জমিন চাষে।
ঘুরি ফিরি দ্বার দ্বার, ছাড়ি সুখের সংসার;
দাসত্ব মুক্ত করি, এক মনে চিন্তি নিরাকার।


বিমোহের বাঁধন টুটি, পাষাণে চূর্ণি মম অহংকার।
নদী সাগর দিয়ে পাড়ি,বন্ধুর সমতল ভূ-জঙ্গল ছাড়ি,
দেখি ঊর্ধ্বপানে--তোমার আকিঞ্চনে মৈনাকমুখী
সম্মুখে হিমালয়, হিমানীর আবরণে সাজে শুভ্রবৎ,
অম্বুদভেদী সৌরকিরণে বর্হিবিশ্ব হয় চকমিৎ।
শান্ত সুশীতল সমীরণ বহে অনুক্ষণ;
নিস্তব্দ নিরালয় বসি একলায়, মনে শুধু তব চিন্তন।


এরূপে একে একে দশ বৎসর হল সমাপ্তি
তবু ব্যর্থ আমি লভিতে তব মহানুভূতি।
ব্যথিত চিত্তে নয়ন মেলে তাকাই অম্বরপানে,
অন্তর ভাসে অশ্রুজলে হয়ে অভাগী তোমা দর্শনে।


ক্ষণিক পরে অকস্মাতে জলধরে আবির্ভূত সৌদামিনী
শান্ত হল মনপ্রান শুনে দৈববানী।
ফিরিলাম সংসার মাঝে, পূজিতে হরি।
জীবমাঝে শিব পেয়ে দেহমন উজাড়  করি
জাতপাত করি অবসান, ভেদাভেদ ভুলি হিন্দু-মুসলমান।
মুচিকে ব্রাহ্মণ জ্ঞানে যেবা সেবা সর্বদায়
অন্তর মাঝে তোমারি অধিষ্ঠান; সকলই প্রেমময়।
সাকারের মাঝে নিরাকার প্রাপ্তি;
এ কী বিচিএ অনুভূতি ----
হে মোর দেবতা তোমাকে প্রণাম  সহস্র কোটি।