দু’দশক পরে ‘খালিয়া’,তোমায় মনে পড়ে--
অর্পি মম পূজার অর্ঘ্য পুষ্পাঞ্জলির তরে।
শৈশবকালে কতনা খেলা খেলেছি তোমারি কোলে,
জুড়ায়েছি দাবদাহ, সুনির্মল শীতল জলে।


উত্তর’তে বাথানবাড়ী,দক্ষিণে ‘সাতপাড়’
পূর্ব’তে ‘চিকন্দী’ আর পশ্চিমে ‘ উল্লাবাড়ী’
মধ্যিখানে বিরাজিত আমার সে ছোট্ট গ্রামখানি।
অতি মনোহর,সুন্দর সুশোভিত,দ্রুম সারি সারি।


কোকিল চলে ডালে ডালে,নৌকা চলে ঢেউের তালে।
কানন সেথা ফুটিছে তথা,মউ’র গুঞ্জন অম্রমুকলে।
ছায়া সুনিবিড় বৃক্ষতলে,চাষীরা বসে দলে দলে।
ক্লান্তি অবসানে কাটায়ে কিছুক্ষণ ,চলে গৃহপানে।
শরৎ রজনীতে মাদুর পেতে ঘরের আঙিনাতে,
ধবল মেঘের পাল দেখি ওই সুনীল আকাশে,
চাঁদের হাসির ঢেউ খেলে যায় তোমারি বটমূলে ।


দিনে দিনে মোরা হয়েছি আধুনিকতার বলি
স্মৃতিমালায় দোদুল দুলি,চূমি তব পদধূলি।
বহু দিবস পরে স্মৃতিপট ভেসে ওঠে এক করুণ ব্যাথায়।
অংশুমালীর অংশু যে নিয়েছে চির বিদায়
এক সাথে হয়ে  সবাই,রেখে হাত বুক’পরে
কাঁদল সকলে অকাতরে সপ্তদিবস ধরে---
জানি, সকলের মত পুত্র শোকে তুমিও মর্মাহত  
তবুও ভুলায়ছো সকলের ব্যাথা, তোমারি প্রেমের পরশে।
শ্রেষ্ঠ তুমি মাতঃ পাবোনাকো তোমায়,যতই ঘুরি দেশ বিদেশে।