জননী বসুন্ধরে, কী মাতৃনাড়ীসূত্র বন্ধনে
জড়াইলে মানবে ধরণী'পরে।গাঁথিলে তারে
অদৃশ্য রশ্মিতে আজীবন ধরে, তব অঙ্গনে।
কত সুধা বিরাজিত তব মাতৃজঠরে,কে জানে।


গাছপালা নদীনালা খালবিল সাগর পর্বত গিরি
সেবিছে তব সন্তানে অহর্নিশি, যুগ যুগান্তর ধরি।
সবুজ শ্যামলিমা গুল্ম তরুলতা মাঠ ভরা সোনা
ফুল ফলে বৃক্ষরাজি পরিপূর্ণ,মৃত্তিকা খনিজ ভরা
সাজিয়েছো প্রস্তর স্তর স্তর, শিরা উপশিরায় জল পারা
দিনমণির কিরণ মাখি,জাগাইলে প্রাণের আনাগোনা।


ঘুরিফিরি চারিদিক—উত্তর দক্ষিণ পূরব পশ্চিম
যেথা  যাই সেথা পাই, তব অপরূপ সুন্দর মহিম
মহাসিন্ধু নাচে ঊর্মিমুখর লহরীর তালে তালে
বক্ষঃ তব সিঞ্চিত করিছো মেঘদূতের পরশনে।
নাচিয়া ওঠে  ময়ূর পেখম তুলে,বাদল দরশনে
বিদির্ণ করিয়া তব তনু,ছোটে গঙ্গা সাগর সঙ্গমে --
মানব চরণ অবগাহনে।সুনীলাকাশে ডানা মেলে বিহঙ্গে।
হিন্দোল মুখর হয় যে হিয়া, খুঁজে পাই পিয়া ভাব তরঙ্গে।


ও হে মা মৃন্ময়ী, কর্ণে মোর ঢালিলে কী অমৃত বাণী।
"মরিতে চাহি না এই সুন্দর ভুবনে",অয়ি মা জননী।
রহিব অনন্তকাল তব অঞ্চল তলে,স্বর্গসুখ ভুলি।