সমুদ্র সন্নিকট, পুষ্পমালায় সাজে অশ্বরথ
প্রেম রসে সিঞ্চিত ভক্তবৃন্দ চলে ধুলি পথ
মেঘদূত মনানন্দে করে বারিধারা বরিষণ
নির্ভাবনায় ভক্তবৃন্দ করে জগন্নাথ চিন্তন


শান্তির মেঘমালা করে বরণ পুরীর গগন
আয় তোরা দেখে যা; চিন্ময়ের আগমন--
মৃন্ময়ের মাঝে,কী অরূপ সে রূপ দর্শন!
পারিজাত পুষ্পের সুগন্ধভরা সে উপবন


লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম,বাজে ঢোল
করতাল, জগন্নাথ চিন্তায় আঁখিপাতে জল
ভক্তিরসের সুধা করিছে সিঞ্চন অনুক্ষণ
আনন্দে মাতোয়ারা পুরীর ধাম এ পুণ্যক্ষণ


ত্রিবর্ণে রথত্রয় ধীরে ধীরে সম্মুখে আগুয়ান
লুপ্ত ত্রিজ্বালা,মনে জাগে শুভ্রতা, যোগসত্তা
সামনে বলভদ্র, পিছে জগন্নাথ, মাঝে সুভদ্রা
হলধ্বজ,কপিধ্বজ,পদ্মধ্বজ;ওড়ে জয়পতাকা


ছন্দের তালে চলে,চতুর্দশ,ষোড়শ,দ্বাদশ চাকা।
দ্বিশতষষ্ঠ কাষ্ঠ নির্মিত রথ টানে সারথী দারুক
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য দর্শিলেন অনিন্দ্যশ্রী সে মুখ
অর্পিলেন হরিনাম মহামন্ত্র উদ্ধারিতে জীবদু:খ।


গাহরে জীব:নাম সংকীর্তন,দুশ্চিন্তার হবে হনন,
প্রেমানন্দে হরি হরি বল,রাধাকৃষ্ণে দাও হে মন।