শহরের অন্ধগলির মোড়ে,
কামরাঙা ঠোঁটে গোলাপি লিপিস্টিক সেঁটে
দাঁড়ায়ে আমি-তোমাদের সম্মুখে।


শোনাতে চাই, আমার অব্যক্ত ভাষা
নাচুনী জীবনের ইতিকথা।
শুনবে কি পথিকবর? তবে দাঁড়াও না।
মিটায়ে গেলে তোমার যৌবনের কামনা
দেখতে কি চেয়েছিলে কভু আমার বেদনা।


তখন আমার বয়স কতই বা হবে
বারোর কাছাকাছি টেনে টুনে পৌঁছে যাবে।বেচে দিল আমাকে--
হুম! ঠিকই শুনেছো, আমাকেই
আমার বাবা মা পেটের দায়ে!
পেট বড় বালাই!!
তোমরা ভাবছো? বড় অভিমানে একথা বলছি
ধুর! ওনাদের কী বা করার ছিল? ছাই!
সেই থেকে আমি,বাইজির বেশে গান গাই
আধ খোলা পিঠে, ঘুঙুর পায়ে আজো নেচে যাই।


আসে, আসে অনেক পথিক আমার ঘরে
কী গান শোনে?  কী নাচ দেখে?জানা নাই।
লোলুপ্তের মত চেয়ে থাকে
নাভির নিম্নাঙ্গে অধরের দেশে
অজ্ঞাতেই যেন টুপটুপ করে রস পড়ে খসে।
কী যে ঢেউ যায় খেলে সুষুপ্ত আকাশে!
জীবনের ছন্দ খুঁজি, আমার ঘর্মাক্ত কেশে।


হায়রে জীবন!
দেখা শুধু মেলে সোনালি মরীচিকার বেশে!!
চোখ বেয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসে জল
তুমি পথিক খুঁজে যাও আমার দেহের তল--


পেয়েছো কি?  বল না আমায়
কাল নাগিনীর বিষ, বিষে বড় কামড়ায়!
জীবন! জীবন,অনেক চেয়েছি তোমায়
আজ আর নয়, আজ আর নয়
আমি আর কিছু চাই না
সাড়ে তিনহাত মাটি শুধু দাওনা।
দাওনা গো আমায়, বিদায় --।