নির্মল বারিধারায় প্রক্ষালিত মলিনতা
শ্রাবণ বরষায় আনি তারুন্যের চঞ্চলতা
চিত্ত মাঝে জাগে অনাবিল বিশুদ্ধতা;
ভরে মনঃপ্রাণ,আসে গঙ্গোত্রীর পবিত্রতা।


গগনে সূর্য-মেঘেরা খেলিয়া যায় লুকোচুরি
দিবা রাত্র মৌসুমি বাদল নামে ঝিরিঝিরি।
বর্ষণ স্নাত ধরণীর বক্ষ:, স্নাত মোর হিয়া
পল্লবিত তরুরাজি সম,গাহে গান পাপিয়া


ঝাউ বনে মৌ সনে,রঙ্গলীলায় উঠিছে মাতিয়া
মধুকর মধুর সন্ধানে চলিছে দুলিয়া দুলিয়া।।
কামানার আশে দাদুরী ডাকে সারাদিন ধরিয়া
পানকৌড়ি মাছরাঙা আনন্দে চলিছে উড়িয়া।


মরাল মরালী জলকেলি করিছে পুকুর ঘাটে
ফেরী নৌকায় ফেরিওয়ালা ঘুরিছে বাটে বাটে
উঠিয়া প্রাতে কর্দমাক্ত পথে ছুটিছে কৃষক মাঠে
ছোট শিশু অলস ভরা চোখে শুয়ে আছে খাটে


এমন বাদল দিনে কেমনে থাকি গো ভুলিয়া
কহ কহ কহ মোর প্রাণপ্রিয়া,কেমনে বিদুরিয়া
নাচিয়া নাচিয়া আপন মনে যাও তুমি চলিয়া
বসো একটু,রাখো তব শাড়ির অঞ্চল পাতিয়া।

বিনিদ্র আকাশ শুনিছে ঝিল্লীর রব তন্দ্রাবেশে
এসো হে উর্বশী,লইব চুমি তব মেঘবরণ কেশে
করিব গোপন প্রেমালাপ, ভুলিব সকল বিলাপ
দুইজনার ওমে আজি অনুভবিব প্রেমের উষ্ণতাপ


রচনাকাল@১৪.০৭.২০১৬, দুবাই