হে খোদা, বিশ্বপিতা, রঘুবীর রাম-সীতা
           শুনেছি তুমি দাতার দাতা!
পাঠাও না কেন তবে কাব্য-রসিক মিতা
       রচিব আজি এক রম্য-কবিতা!


সপ্ত-সুরের তানে গাহিব হৃদ-জাগানিয়া গান
                ভাঙিব প্রিয়ার অভিমান
জাগিবে শিহরণ; মন্ত্রমুগ্ধতায় নাচিবে মনঃপ্রাণ
                  কলরবে আসিবে উজান।
                  
খেয়ালী অবুঝ মনের সাথে সদা বোঝা পড়া
                   কভু হারা কভুবা জিতা
খোদার আরশে বসিয়া লিখেছো  ভাগ্যবিধাতা
                    স্বর্ণাক্ষরে সুস্পষ্ট পাতা।


পাওয়া, না-পাওয়ার দোলা চলে মনের গভীরে
              জলভরা মেঘে শুধু চাওয়া
মায়াবী-চাঁদ আর মায়াবিনী রাতের অগোচরে
            একছড়া মল্লিকার পরশ পাওয়া!!


প্রেমাঙ্গনে রাসের খেলা খেলিব প্রেয়সীর সাথে
                 স্নিগ্ধ জ্যোৎস্না রজনীতে
মুক্ত বিহংগের ন্যায় যাইবো উড়ে সুনীলাকশে
                 অরুণিমার সন্ধানে সুপ্রভাতে---


নিকুঞ্জবনে দু'জনে করিব ভ্রমণ সাঁঝের বেলা
          খেলা করে জোনাকিরা  সান্ধ্যরাতে  
আকাশগঙ্গার বুক জুড়ে পুঞ্জপুঞ্জ তারার মেলা
            দেখিব দোঁহে সাদা মেঘ শরতে।


কাঁঠালের পিরীতির আঠায় বাঁধিব দু'জনার মন
            জাগাইব ফাগুন সর্বক্ষণ
মোদের প্রেমের লহমা ছাড়িবে বিশ্ব, ভেদিবে গগন
          প্রেমের দোলায় কাঁপিবে বৃন্দাবন!!