প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়
যদি কর বৈদূর্যমণির বায়না,
না না, আমি একবারও করব না মানা,
নিয়ে এসে তাই, তোমার লাগি বানাবো গয়না।


প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়
যদি বল ঘুরতে ইচ্ছে হয়,
নিয়ে যাবো, ঔ নির্ঝরিণী পাহাড়ি ঝরনায়
ছয় বেহারার পালঙ্কী দোলনায়
পদব্রজে আয়েসি চালে চলব পড়ন্ত বেলায়।


প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়
যদি বল, স্বর্গের নর্তকী উর্বশীর নাকের নোলক
এনে দিতে হবে;
স্বপ্নমাখা পাখায় মনতরণী ছুটে যাবে,
কোন কথা না ভেবে,
ছেড়ে যাব গোলকধাঁধার গোলক,
ছিনিয়ে এনে দেব তোমার অভিলষিত নোলক,
উৎসবে ভাসায়ে দেব ভূ-লোক।


প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়
আমার লোমশ বুকের ভালবাসায়
তোমার প্রতিটি রোমকূপের ঘুম নেবে চির বিদায়--
উঠবে জেগে তন্দ্রা হারানো মাদকতায়।


প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়
তোমার বুকের ভিতর সুষুপ্ত কামানার বীজ,
প্রহর গুনছে অঙ্কুরিত হবার আশায়---
জীবনকণায় উঠবে জেগে আমার নীরদ ছোঁয়ায়।


প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়
তোমার তলহীন স্রোতস্বিনী তটিনীর তলায়
নিমজ্জিত অমৃতধারার স্বাদ বলে দিতে পারি--
হে আমার কমলসুন্দরী, শতদলশুভ্র নারী।


প্রিয়তমা,কী না দিতে পারি তোমায়
রয়েছে যে মহুয়াবন প্রান্তের সীমারেখায়
মায়াবী পৃথিবী যেন ঘিরে ধরেছে মধুরছায়ায়
মৌয়ের গন্ধ ছড়ায় তমাল শাখায় শাখায়--
যাব মোরা দু'জনে সেথায়,মধুকেলির নেশায়--


তারপর? তারপর কী করবো জানো?
আমার দুই হাত ছুঁয়ে দেবে তোমার নরম তুলতুলে গা,
শিহরণে হিন্দোলিত হবে তোমার মাথা থেকে পা
অস্ফুট তোমার বচনে প্রকাশিত হবে ভালবাসার কথা
আমি শুনবো আর শুনবো--হৃদয় ভরে শুনবো
তোমার চিরযৌবন রসে সিক্ত হবো
অনন্ত শৃঙ্গারে লিপ্ত থাকব অনাদিকাল!
ঢেকে দেবে দু'জনায় নিশ্ছিদ্র মায়াজাল!!


প্রিয়তমা, কী না দিতে পারি তোমায়-----


রচনাকাল : ০৭.০৯.২০১৬ রাত ০০:৩৮ @দুবাই।
কপিরাইট সংরক্ষিত।