আমার শরীরের বিষপোঁকাগুলি কাটছে কুটিকুটি
অনিমেষ তাকায়ে আছি; নেই ভ্রুকুটি
সামনে দেখে নিষ্পলক চোখের তারাদুটি---
কী দেখছে, দেখার ভান করে,থেকে যায় অজ্ঞাত---


মাংসহীন হাড় চিবোচ্ছে সারমেয়; দেহ ক্ষত বিক্ষত
স্টেশনের মেঝেতে বসে ছ্যাড়া পোশাকে মুচি সেলাই করছে জুতা
সূচালো সূচের ডগায় লাগছে আঙুলে গুতা
সত্য দেখতে চেয়েছিলাম, দেখছি কি আমি?
জীবনটাই এক ঝুটা!


লটারীর দোকানে ভিড় সারি সারি
দাঁতচাপা হাসিতে দেখাবে খোদার উপর বাটপাড়ি!
বিধাতার ললাট লিখন, করতে হবে খণ্ডন
একটি বার শুধু!
তারপরেই ঘুচবে আজীবনের রোদন!


অনতিদূরে দেখি পুজার আনন্দে বিভোর একদল ছেলেমেয়ে,
নানাভাবে অলংকৃত অঙ্গ
মলিন বস্তায় সজ্জিত ভিখারিনী, হাতে করঙ্গ
তবুও চোখের সাধ মেটেনা, হয় না তার দেখা!
ম্রিয়মাণ গতিতে চলছে শবযানের অন্তিম যাত্রা!


স্বাধীন দেশের নাগরিক আমি,
এখনো খুঁজে চলছি স্বাধীনতার বার্তা---
বার বার হার মেনেছি,তবুও তো যায়নিকো থেমে আশার দেউটি
থামবে সেদিন, যেদিন দেহখানা পড়বে লুটি!


হায়রে দুরাশা! মুদিত চক্ষে স্বপ্ন দেখে ভাসা ভাসা!
রাত এখনো বাকী,  সকাল হলেই শুনতে হবে
পাল্টে যাওয়া প্রেয়সীর কদর্য ভাষা!
হারায়ে যাওয়া প্রভাতগুলি, অকাল বৃষ্টিতে সিক্ত
দুইহাত তুলে উদ্বাহু নৃত্য,আমি যে আজ রিক্ত!


রচনাকাল: ১০.১০.২০১৬ @ চাঁদপাড়া,
কপিরাইট সংরক্ষিত।