স্তরে স্তরে প্রস্তরিভূত,জীবনের অন্তরালে
প্রণয় পরাভূত; কামিনী কাঞ্চনের অঞ্চলে।
নাগপাশের খেলাচলে মরণের বেড়াজালে
অকুসুমিত কোকনদ;চারিপাশ আপদ বিপদ।


অসূয়া রমণী হারায় জীবনের মূল্যবান সম্পদ
অপান্থেয় পুরুষের নিম্ন উদরের সপাটাঘাতে
ছোপ ছোপ লাল ছাপ পান্থশালার বিছানাতে
চন্দ্রিমাবিহীন রাতে ভালবাসার মৃত্যু ছুরিকাতে।


জীবনের ধারা হারায় চেহারা গিরিখাদের তলে
শীৎকার শব্দ শুনি মীনাক্ষীর কামনার জলে!
বাঁঁচবার নিঠুর প্রয়াস--তবুও যে কাটে না ফাঁস
অমাবস্যার চাঁদ দেখবার সকরুণ পরিহাস!


পৃথিবীর মিতালী হয়না আর নীলাকাশের সাথে
সূর্যোদয়ের পথ দেখি না বহুকাল সুপ্রভাতে।
সর্প-নাগিনীর প্রজননকাল শুরু হয় সান্ধ্য-রাতে
মন্মথের পঞ্চবাণে বারবার নাস্তানাবুদ, চলে বিপরীতে


তবুও আমি দেখতে চাই নারীত্ব আর পুরুষত্বের উত্থান
হাল ধরো কাণ্ডারি, গাহ আরবার জীবনের জয়গান।
কার্য অতীব দুঃসাধ্য, কিন্তু নহে কভু অসম্ভব
মানবের মিলিত চেষ্টায় হবে দু:সময় পরাভব।


রচনাকাল :১১.১০.২০১৬,রাত ০১:০৬ মি: @ ট্রেনে পুরী যাত্রার পথে। কপিরাইট সংরক্ষিত।