তোমাকে বলছি, তোমাদের বলছি
হ্যাঁ তোমরা মানুষ,তাই বলছি
আমি বলছি তরুণ-প্রবীণ, নারী-পুরুষ
অবালবৃদ্ধবণিতা, সকলকেই বলছি;
ধর্মযাজক, কৃষক, শ্রমিক,মজদুর
নিরক্ষর, স্বাক্ষর, খেটে খাওয়া মানুষদের বলছি;
আমি আমার ভারতবাসীকে বলছি:


মধ্যরাতের প্রহরলগ্নে নক্ষত্রখচিত যে তারারমেলা
জ্বেলেছিল আলোর মশাল ভারতের নীলাকাশে
কেন তবে ধাবমান অন্ধকারের দেশে?
কোন সে দুর্বাশার অভিশাপ --- ঘটালো যে মহাপাপ
তিলে তিলে বেড়ে হল তাল,
এখন পাপের খারা গিলছে তোমাদের নিজ গ্রাসে,

কে নেবে এই দায়ভার?
তোমারা বলো,'জানিনা কিছু', সকলি দেশ-নেতার কারবার!
কেড়ে নিয়েছে তোমাদের বাঁচার অধিকার!!


মুষ্টিমেয়ের হাতে শাসন আর শোষণের যন্ত্র
চালাচ্ছে ওরা, ভারতমাতার সন্তানের বলিদানে অর্জিত গণতন্ত্র?
বীর সেই সূর্যসেনার আত্মত্যাগ
পথের ধুলায় পর্যবসিত!
সফেন সমুদ্রের গহীন তলে "ভারত-দর্শন "
পাতাল নাগিনীদের ছোবলে মৃত প্রায়
আবার বাঁচতে চায়--- স্বাধীন হতে চায়...


যতদিন স্বাধীনতা থাকবে দিল্লীর মসনদে আবদ্ধ
সংসদের ওই প্রকোষ্ঠের মধ্যে কারারুদ্ধ
যতদিন প্রান্তিক চাষি পাবে না তার ফসলের দাম
মহাজন নামক গণ্ডার চুষে খাবে তার রক্তের ঘাম
শ্রমিকের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যর্থ হবে পেটের জ্বালা মেটাতে
সাধারণের নাভিশ্বাস বেরুবে কালোবাজারির দাপটে
হাসপাতালের দরজায় লেখা থাকবে
অর্থ পিপাসী নরখাদকের নাম
করের টাকায় শাসকদের মধ্যরাত্রির পানীয় হাতে
নর্তকী নাচবে উদ্দাম;
যতদিন দেশমাতৃকার বুকে বিঁধে থাকবে
দুর্নীতির কালিমালিপ্ত  দুর্যোধনের শর
শকুনির ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল প্রসারিত হবে
ঊর্ণনাভের নাভিরজ্জুর মতো
জেনো, সেইদিন পর্যন্ত পাওনি তোমাদের স্বাধীনতা...


আর স্বাধীনতার এই অকাল মৃত্যুর জন্য
অন্য কেউ নয় -- তোমরাই দায়ী!!
তোমাদের অধিকার, কেউ দিয়ে দেবে না
আদায় করে নিতে হবে;
জাতিধর্ম নির্বিশেষে, হত দরিদ্র, না খাওয়া
আধা খাওয়া মানুষকে সাথে নিয়ে এগাতে হবে
পুনরায় "স্বাধীনতা" উদ্ধারের লক্ষ্যে...
প্রয়োজনে এ যুদ্ধোত্তরণে দিতে হবে তাজা তাজা লালরক্ত...
জেনো, একটি কথাই : "স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে
স্বাধীনতা  রক্ষাকরা শতগুণ কঠিন"।