মায়া নয়, নয় কল্পনা
বাস্তব সশরীরে শরীরিণী অঙ্গনা
মাদক দেহসুরভি, আঁখিপাতে ইন্দ্রজাল ছায়া
অদূরেই বহমান কুলকুলধ্বনিতে তটিনী স্বচ্ছতোয়া
উন্মিলিত ওষ্ঠ কাঁপে অনিলে যেন কমলা কোয়া


নূপুর মধুর ধ্বনিতে আনে কামনামদির ছন্দ
হিল্লোলিত বরতনু, কে রুখিবে আজি জলধি তরঙ্গ?
কবরী বিদ্ধ জুঁই স্খলিত হইবে ক্ষণকালে
বাঁধনহারা হইবে আজি, পড়িবে ভূতলে!


সীমার মাঝে মিলায় কে অসীম আনন্দ
হরিণী নয়নে দেখিছে সুললনা; দৃষ্টি অপাঙ্গ,
অপার্থিব ভররাজি গড়িছে কুসুমসম
সুনিটোল ফলবৃন্ত দুলিছে শাখে মনোরম।


ক্ষণে ক্ষণে বৃংহণ ডাকে মাতঙ্গ
অপরূপ রূপে সাজিছে কুমুদিনীর অঙ্গ
সৌন্দর্যমণ্ডিত আলুলায়িত কজ্জলনন্দিত কেশরাশি
মৃদুল মলয়ে ভাসি করিছে অট্টহাসি
চকিয়া উঠিল সেথা রজনীকান্ত শশী
মোতিহার বিন্যাসী শুক্তিনন্দিতা দন্তরাজি
শান্ত দীঘল জলে নিজছায়া দেখে সুরুচি!


পূর্বরাগের পসরা সাজাইল যখনি
স্মরজালে বিঁধিল আপন দেহখানি
উথলিয়ে ওঠে সাগরপ্রমান প্রথম প্রবাহ
ফেনিল ঊর্মি আজ রুখিতে পারিবে না কেহ!