আমি, আমার বাগানে লাগিয়েছিলাম ফুলগাছ
হাজার প্রজাতির, নানান বাহারী নামের ৷
কিন্তু গাছ গুলি আর বাঁচলনা,
যদিও করেছিলাম সকালে বিকেলে খুবই পরিচর্যা
যে গুলি বেঁচে ছিল তাতেও ফুল ফুটলনা ৷
বসন্ত এসেছিল ঠিক শরতের পরেই
সে আসতে দেরী করেনি, তবুও ফুল ফুটলনা ৷
এইতো সমাজের বৈষম্য বৈচিত্রের ছবি —
দিতে চাই অনেক কিছুই কিন্তু নিতে চায়না কেউ
তবে হ্যাঁ আমি সৃষ্টি ছাড়া, যত্ন জানিনা
চাইনা জটিলতা, সরলতার মধ্যে বাঁচাতে চাই জীবন
তাই বুঝি ফুল আর ফুটলনা ৷
মনে হয় গাছগুলি শেখেনি কিছুই, কিছুই জানেনা
ভালোবাসা পেতে হলে যে ভালোবাসা দিতে হয় ৷
হিংসার রাজত্বে শুধু হিংসারই প্রলেপ লাগা থাকে,
মানবতার খাতিরে মানুষ মনের সাথে একটুও করেনা আপোষ
তাই বসন্ত এল কিন্তু আমার বাগানে এলনা ৷
আমি করছিনা প্রতিবাদ, যাইনি হাইকোর্টের উকিলের ভীড়ে
শুধু একবারতো মনে করতে পারি নিজের ব্যর্থতা
যদি হাজার গাছের মধ্যেও শুধু একটি মাত্র ফুল ফুটত
তাহলেই আমি মালী হতাম, ট্রেজেডির কবি নই ৷
কিন্তু ভাবলে মনে হয় আমাকে কবিত্ব দিয়েছে
সেই ফুলগাছ গুলি যারা অকালে মারা গিয়েছিল
তবুও তারা আজ নেই বলে আমার কবিত্ব অসহায়
শুধু এটুকুই বলি যেহুতু আমি এক মালী
যেন কোন গাছ তার ফুল থেকে মালীকে বঞ্চিত না রাখে ৷