চমকে ওঠে ভীরু স্বপ্নের মাঝে ঘুমন্ত সলিল
কাজল রাঙা চোখে সুন্দরতর
দিব্য মহীমা অপরূপা শোভিত জ্যোৎস্না
রূদ্ধ হিয়ায় নিঃশব্দ চরণে এসেছে পূর্ণিমা
পড়েছে প্রতিবিম্ব সেই ঘুমন্ত সলিলের বুকে
তাও বলে প্রতিচ্ছবি, সে মুহূর্তের অভিনয় শুধু
তবু কাজল গলে কালো চোখের জলে
কাঁদছে চাঁদিনী রাত্রি ৷
সমীরণ এসে জলের মাঝে আলপনা এঁকে
বোঝায় বিরহ ৷ স্থির হবে কবে জল মাঝে
সেই অস্ত যাওয়া পূর্ণিমা, শুধু অপেক্ষায় বৃথা ৷
চাঁদ বুঝি কালো জল ভালোবাসেনা,
শুধু একলা আবেশে আবেগের কল্পনা ৷
কেউ ভালোবাসেনা, বুকে জাগে অনন্ত অভিমান
আকাশে বিরহের চোখ তুলে দেখে চাঁদের কল্পিত ছবি
মৌন আধাঁরের ইশারায় প্রেম জাগে প্রানে
জন্ম ভরে কোন যে হেয়ালীর সুরে রয়েছে জীবন
পায়ে পায়ে নাচে নূপুরের ছন্দে, সে যে কেউ নয়
শুধু মনের কুহকীনি খেলছে হ্রদয় ভাঙ্গা খেলা
সারাটি জীবন খেয়ালীর পাশে ফুটেছে বিরহের ছবি
সুদূর আকাশের রবি অস্ত যাবে বলে
গোধূলীর বেলা যেন স্থির হয়ে কাঁদে,
বাসা যেন বাঁধা কোন পাখির নষ্ট নীড়ে
চমকে ওঠে ব্যাথা চোখ ভরা নীরে ৷