আমি তখন তন্বী ছিলাম, ভীষণ তখন লাজ _
সাজতে গেলেও লজ্জা পেতাম, তাই অল্প ছিলো সাজ।/তবুও এলো ভালোবাসা, একটু বড়ো যখন /
মনের মানুষ পেলাম আমি শরৎ কাল তখন !/
জীবন যেনো উঠলো ভরে, পেলাম যেন হিরো;/
সালমান আমির সবাই তখন ওর পাশে জিরো।/
এমনি করেই কাটছে সময়, গড়গড়িয়ে দিন:/
স্বপ্নমাখা দিনগুলো সব, আমিও রঙিন।/ওর ব্যাবসা উঠলো বেড়ে, ভীষণ ব্যস্ত থাকে;/
উইকএন্ড এ রবীন্দ্রসদন: আমায় ফোন এ ডাকে।/
আমিও এবার চাকরি নিলাম, কলেজ পড়ার মাঝে _ /বেচেঁ রইলো ভালোবাসা আমার বুকের মাঝে।/
আবার একটা দুর্গাপূজা চলে এলো ঘুরে; /
আগমনীর গান বাজছে, সেই পুরোনো সুরে।/
ষষ্ঠীরদিন সকালবেলায় এলো ওর কল:/ "কী করছিস সকালবেলায়? আজ ঠাকুর দেখবো চল।"/
"কিন্তু আমার অফিস আছে, আজকে ভীষণ কাজ;/
কল করবো দুপুরবেলায়, মিটিয়ে সকল কাজ।"/
হিরো বলে,"ব্যাংক করেদে, অফিস যতো কাজ:/
দুজনমিলে অনেকদূরে, ঠাকুর দেখবো আজ।"/"ঠাকুর যদি দেখতেই হয়, বিকালে বেরোব আজ,/তুমিতো জানো, আমার ভালোলাগে মায়ের সন্ধ্যাবেলার সাজ"! /ওকে বলেই ফোনটা কাটে, হয়তো গেলো রেগে:/আমি তখন কাজে গেলাম ঝড়ের মতো বেগে।/কাজ সারলাম দুপুরবেলায় সোজা হিরোএর বাড়ী;/জানি এবার ভাবকরবে, দূরে যাবে আরি।/হিরোএর ঘরের জানলা খোলা, আমি ভীষণ পাজি;/ভয় দাখাব আজকে ওকে, রইলো হাজার টাকার বাজি!/জানলার ফাঁকে চোখ রেখেছি, শুয়ে আছে? দেখি:/কিন্তু খাটে শুয়ে আছে, পিঙ্কিবৌদি একি??/চোখটা আমার ঝাপসা হলো, আর দেখিনি মাগো!/আমার বুকের ভালোবাসা বলছে তখন,"ভাগো তুমি ভাগো"।/কান ও বুঝি স্তধব হলো, নাকি হলাম কালা?/চেতন এলো যখন, দেখি মা খুলছে গেটের তালা।/ষষ্ঠীতেই আমার বুকে বিসর্জন এর সুর _ _/আমায় ছেড়ে ভালোবাসা চললো বহুদূর।।/