সাহিত্যটা যেন মজ্জায় মিশে আছে।
তবে নিজেকে আহামরি কেউ ভাবতে নারাজ;
গদ্য - কবিতায়, নাটক - উপন্যাসের,
চরিত্রের মাঝে হারিয়েছি বারবার।
কখনো হতে চেয়েছি জীবনানন্দ'র বনলতা সেন,
কখনো পূর্ণেন্দু'র নন্দিনী;
মাঝে মাঝে সুনীলের নীরা,
আবার কখনো রুদ্রের তসলিমা।
কাব্যপ্রেম আমাকে একেবারে অকাজের করেই ছাড়লো।
তাই এখনো বাস্তবতায় ও স্বপ্নের চরিত্রগুলোকে খুঁজে বেড়াই।
হায়রে প্রেম !!!
যাকে ধরিস, তার অস্তিত্বকে বিলীন করে দিস।
নিমাই এর সেই মেমসাহেব এর নাম ছিলো কিন্তু মাধবীলতা;
অথচ সে মৃত্যুর পর থাকলো মেমসাহেব পরিচয়ে।
অমিতের কাছে লাবন্য, শেখরের কাছে ললিতা;
কিংবা নরেন এর কাছে বিজয়া প্রেমের অনুপ্রেরণা।
সমাপ্তি গল্পের নায়িকা মৃন্ময়ী ও একদিন,
বুঝতে পারে অপূর্ব এর ভালোবাসা।
যেমন করে মাল্যদানের যতীন বুঝে,
কুড়ানির নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।।
অমিত ব্যর্থ হয় শেষের কবিতায়,
আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের কাছে।
কিন্তু কোন দাবি রেখে হারিয়ে যাওয়া শোভনলাল,
ফিরে পায় প্রথম যৌবনে হৃদয়ে অঙ্কুরিত ভালোবাসা।
সাহিত্যের রাস্তা মাড়িয়ে আসা এই আমি ও,
খুঁজে চলি ঐ স্বপ্নচরিত্র।
সবচেয়ে অপ্রিয় সত্য হলো এটা,
ঐসব চরিত্রগুলোর স্রষ্টাই ব্যর্থ বাস্তবজীবনে।
বাস্তবে সকল চরিত্রগুলোর জীবন,
ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে ঘুরে।
ওসব দিয়ে মনকে সাময়িক সান্ত্বনা দেয়া যায়;
কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসাগুলো থাকে বাস্তবে,
কাব্যের তোয়াক্কা না করে ।