তেত্রিশ কোটি পুষ্প মাখি দেবতার চরণে ,
স্বপনে যেন স্বর্গ মর্তে তাহারে পড়ে মনে।
দেবী তুষ্ট পুজারি ক্লিষ্ট সৃজন বিলাসে ,
মন্দিরে পুজারি যাচিয়া খুন, দেবতা হাসে।


আপনার হৃদয় হতে আহরি বচন।
পুজারির সিক্ত আঁখি দিয়ে কবিতা রচন।
দেব-দেবী মানুষ সেবি বড় হইল ভবে
স্বর্গ নরক রচিল ঐ তরে জানি না তা কবে!


যুদ্ধে গিয়া যোদ্ধা মাতাল তীরধনু ছোটে,
অর্জুন তো জয়ী বটে কৃষ্ণ তাহার রথে,
আপন লোকের মস্তক বাজি রাখলে রাজি
রাজ্য ছেড়ে দিতে বাধ্য কাজি।


বুদ্ধ যবে বিটপি তলে আশার তরী বাধে।
সুজাতা তার সব সপিল বুদ্ধ দাদার কাঁধে ।
নিজ গৃহ ত্যাগি সন্ন্যাসি পাজি
পাঁজির পাতা উল্টা কাজি ,


অপমানের তীব্র ব্যথা লয়ে হাজির এ কাপুরষ
জ্ঞাত সব ইতিহাস জ্ঞাতি চাচার দ্বারে,
সারদা দেবী অভিশাপ দেয় শেষে
স্বর্গ নরক তারি হাতে রচা,
তিনিই পশিবে শেষে।


পুজারি ফিরে এসো,
দেবতার লাগি রাত্রি জাগি সে ফল তোমার কি?
বলতো তেত্রিশ কোটি পুষ্পের মনি একাকি কৃষ্ণজি
পুজার দুয়ারে দাঁড়িয়ে পুজারি ক্ষুন্ন মন তাত
গ্রহিলে না তাই, ফিরে দিলে সওগাত।


বিশ্ব জুড়ে নিঃশ্ব লোকের নিত্য কোলাহল,
ধনির দুলাল গরিবরে দলে করি কলরোল।
মা সারদা দেবি সাজি আজি নাশিতে চায় প্রাণ ,
শোন দেব-দেবীরা সব জীবন কাহার দান।
বৃথা সপিল স্বর্গ মর্ত্য মমতা নাই’ক যার ,
দেব দেবীরে পুজা করে যে কপাল মন্দ তার।


যশোদা কি এতই নিঠুর, আঁখি কি তার অন্ধ?
লক্ষ জনতা ক্ষুধার দুয়ারে, যশ দ্বার বন্ধ।
মানুষ সেবা মানুষের কাজ, নিত্য দিনের খোঁজ ,  
ভুলিছে দেবতা জনতারে, গ্রাসিয়া আপন ভোজ।
সব মানুষে কাঁদে বসে, পায়না দুমুঠো অন্ন।
যশোদা তুমি অট্টালিকা গড় নিত্য আপনার জন্য।


(বিঃদ্রঃ কবিতাটি রূপক অর্থে রচিত )