প্রপিতামহেরই পিতা
কাদের বকস পাটোয়ারী,
বরিশাল থেকে রংপুরে
দিয়েছিলেন তিনি পাড়ি।
মহামহিম শ্রীযুক্ত মরহুম
কেরামতুল্লাহ সরকার,
করিম বকস পাটোয়ারীর
সহোদর সত্য সমাচার।
তার আপন ভাই মান্যবর
আলা বকস পাটোয়ারী,
আমার প্রপিতামহ দস্তাবেজ
ঘেটে জানতে পারি।
তারা ছিলেন প্রভাবশালী
পেশা ছিল জোতদারি,
আদি সাকিন তাই আমাদের
পশ্চিম হলদিবাড়ি।
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের দলিলে
এসব জানতে পাই,
এছাড়াও আছে অনেক তথ্য
সবটা জানা নাই।
বদি উদ্দিন, আযিম উদ্দিন
ও আব্দুর রহমান,
তিনজনই আপন ভাই
আলা বকসেরই সন্তান।
বড়ো ছেলে শ্রদ্ধাভাজন
মরহুম আব্দুর রহমান,
মহির, জহির ও আফতাব
তারই তিন সন্তান।
মেজো ছেলে সম্মাননীয়
মরহুম আযিম উদ্দিন,
সন্তান তার একজন বেশি
নয়কো সংখ্যা তিন।
সমসের, মনছের, হামিদ ও
চেয়ারম্যান আমজাদ,
মিলেমিশে ছিলেন তারা
করেনিকো কভু বিবাদ।
ছোট ছেলে তার সম্মাননীয়
স্মরনীয় বদি উদ্দিন,
গণি, জয়নাল ও কাশেম তার
পুত্রসংখাও মোটে তিন।
বংশীয় পদবী পাটোয়ারী হলেও
উপাধি পান সরকার,
মায়া মমতায় বুদ্ধিমত্তায়
চালাতেন পুরো সংসার।
আব্দুর রহমানের নাতি
জনাব সফিয়ার রহমান,
পাটিকাপাড়ার দু-দুবারের
জনপ্রিয় চেয়ারম্যান।
বংশের বড়ো নাতি মরহুম
সফিউদ্দিন তার বড়ো ভাই,
তিন তিনবারের সফল
চেয়ারম্যান তুলনা তার নাই।
আযিম উদ্দিনের নাতি নুরজ্জামান
বাবলু পেশায় ডাক্তার,
নিজের এলাকায় আছে
খুউব নাম ও ডাক তার।
তারই পিতা মান্যবর মাননীয়
মরহুম চেয়ারম্যান আমজাদ,
গোলমুন্ডার ছিলেন চেয়ারম্যান
নেই কোন অপবাদ।
বদি উদ্দিনের নাতি
আনোয়ার সাদাত পাটোয়ারী,
সকলেই বলে তাকে সে
অনেক গুণের অধিকারী।
সকলেই চেনে তাকে
একনামে ডাকনামে রিপন,
সত্য ও ন্যায়ের পথকেই
করেছে বড়োই আপন।
প্রচার বিমুখ প্রতিবাদি
একজন বাস্তববাদি কবি,
নেতা হিসেবেও সকলের
হৃদয়ে গাঁথা তার ছবি।
অংকন আবৃত্তি উপস্থাপনায়
তার দিপ্ত পদচারনা,
অভিনয় ধারাভাষ্য গান ও
বক্তব্যেও কম যান না।
এসব তার নয়কো অহংকার
কষ্টেগড়া অর্জন,
ভক্তিময় ভালোবাসায় তাই
দেয় নিজেকে বিসর্জন।
সফিয়ার, বাবলু ও রিপন
তিন দাদার তিনজন নাতি,
মানবসেবায় সবসময় জ্বালায়
পরম প্রেমের বাতি।
আজ এপর্যন্তই অন্যদিন
হোক না অন্য কোন কথা,
সে পর্যন্তই বেঁচে থাকুক
মানুষ্যত্ব আর মানবতা।
১৯৯৩ তম লেখা