প্রফুল্ল দাদা একজন ডাক্তার,
এলাকায় খুব নাম ডাক তার।

গনেশদাদা ইউনিয়ন মেম্বার,
শোষিত মানুষদেরই কর্ণধার।

দেখা হলে চা আর নাস্তা খাই,
আতিথিয়তায় যে জুড়ি নাই।

আত্মার তারা নিকট আত্মীয়,
যদিও ধর্ম ও মতে বিজাতীয়।

আত্মীয়তার এ নিদারুণ সূত্র,
শ্বশুরবাবার দুজনই ধর্মপূত্র!

শ্বশুরবাবা আ: আজিজ মানু,
পরোপকারে ছিলেন পরমানু!

ঠিকানাটা বিখ্যাত মুন্সীর হাট,
শ্বশুরকুলের যেথায় ষাট বাট।

ইউনিয়ন পরিষদটা মমিনপুর,
কোতয়ালী থানা সদর রংপুর!

শ্বশুরগণ মোটেই উনিশ ভাই,
তের বোন তাদের সাথে পাই।

থাকলেও জনকের জমিদারি,
করেনি কভু তারা ছলচাতুরী।

মরহুম মোবারক হো: চৌধুরী,
তিনিই গড়েছেন স্বপ্নের পুরী।

তার বাবা করতেন মুন্সিগিরি।
পিয়ারাতুল্লাহ মুন্সি সর্বোপরি।

লেখায় নেই কোন জারিজুরি,
দাদাশ্বশুরের সকল বাহাদুরি।

চেয়ারম্যান ছিলেন বহু বৎসর,
এক নাগাড়ে সাতাইশটি বছর।

দূর্গা মন্দির গ্রামের রাস্তা ঘাট,
গড়েছেন শ্মশান ঈদগাহ মাঠ।

মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা,
চৌধুরী বংশের ধর্মীয় স্থাপনা।

স্কুল কলেজ আর হাট বাজার,
জমিগুলো সবই ক্ষুদ্র রাজার।

তাঁর পিতার নামেই মুন্সীর হাট,
চৌধুরী পরিবারেরই ঠাট বাট!  

পুরাণ বাড়ি তার হাড়িয়ারকুঠী,
আমৃত্যুই জনগণ দেয়নি ছুটি।