এসিড হত্যা ধর্ষণ
স্বজনের আহাযারী!
সন্ত্রাসী করেছে বস্ত্রহরণ
গণতন্ত্র-
আজ উলঙ্গ নারী!


জনসভায় জনদরদী
হাজার হাজার
প্রতিশ্রুতি,
ভোটটা পেলেই লাট বাহাদুর
মানুষতো নয় মাটির
মূর্তি।


দেশটা কোথায় দশটা কোথায়
কোথায় স্বাধীনতার
বাহাদুরী,
দেশটা দলের দলীয় নেতার
বিদ্যাপীঠে ধর্ষণ
ধর্ষণের সেঞ্চুরী।


ভারতের ভালোবাসায় পেয়েছি
স্বাধীনতা‌‌ '৭১এর
আদর,
তাই বলে কি দেশটা জিম্মি
শালা- রক্তচোষা
বাঁদর।


রাক্ষস কি দেশকে ভাবেন
দশকে ভাবেন
বাসন্তীকে কেহ,
রাক্ষসের চোখতো একটা;
ক্ষুদার্থ নারীর উরু-
উলঙ্গ দেহ।


বাহান্নর বর্ণমালায় '৭১এর
লালসবুজে ইতিহাস
কাটে সিঁদ,
রাজাকারী মৃত্যু নিয়ে
শয়তান হলো
শহিদ।


বীরঙ্গনার পেটে ন'মাসের
বাংলাদেশ পঞ্চপান্ডব
পিতা,
জেলে থেকেই নেতা হলেন
জাতীর জন্মদাতা।


ণুরহোসেন বিদ্রোহী কবিতা
মিলন জাতীয়
গান,
তাদের রক্তে জ্বালছে  কুত্তো
জননীর বুকে
শ্মশান।


মানচিত্র খাচ্ছে মানুষ
কবরের কুত্তোর
মত,
জীবনহীন জীবনে হে মহাপুরুষ
জীবন খুঁজবে
কত?


পতিতার স্বপ্নে পবিত্র প্রেম
একটি ছোট্ট
সংসার,
কে দেবে তা কে দেবতা
কে দেবে
১৯৭১।


শুকান্ত জয়নুল কাঁদছে বসে
নেইযে পেটে
ভাত,
জননী তোমায় উলঙ্গ করেও
মেটেনি মনের
স্বাদ।


ইয়াসমিনের জন্য কাঁদেন
দেবতা জলপ্রপাত
নায়াগ্রা,
চির কুমারের কুঞ্জে  শত
ইয়াসমিন শাড়ী কনডম-
ভায়াগ্রা।


খেতে দেবনা রক্ত শকুন
খেতে দেবনা
মাংস,
পতিতার সতীত্বে জন্ম আমার
আমি বিদ্রোহী
রাজহংস।


রক্ত এখন কালির সাগর
কলমটাযে
অস্ত্র,
খাতাগুলো মায়ের শরীর
জন্মভূমি
বিবস্ত্র।


কংকাল দেখে কাঁদেন রাজা
চোক্ষেতে ঘুম
নাই,
মদের গ্লাসে জন্মান রাজা
হাজার হাজার
টোকাই।


কাটছে কসাই জ্যান্ত মানুষ
পাষবিক-
পাষন্ডতা,
গণতন্ত্রের গালে মারছে
থাপ্পড় উন্মাদ
স্বাধীনতা।


সন্ত্রাসী সাইক্লোনে রক্তাক্ত
বাংলা গণতন্ত্র
রাজপথ,
জেগে ওঠ হে ক্ষুদিরাম
সূর্যসেন বিদ্রোহী
ছায়াপথ।


বীর বাঙ্গালী বীর শহিদ
জাগ্রত মহা-
জনতা,
গর্ব আমার সোনার বাংলা
চির সবুজ
স্বাধীনতা।


তারিখ: ০১-৬/০৯/২০০১খ্রি:


বাংলা কবিতা পরিবারের সকলের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।
সবাই ভাল থাকুন নিরন্তর............