তন্দ্রা অবস্থায় তুমি এসেছিলে মৃদু পায়ে
আমি যখন একা ছিলাম পরিশ্রান্ত দেহে,
আমারও পাশে এসে বসে ছিলে নিঃস্তব্ধ রজনীতে।
আমার কর্ণে,শ্রবণের সহিতে এসেছিল
তোমার পায়েলের নিপ্পন ধ্বনি ।
পাশে বসে আলতো করে আমার মস্তকে
আদরের সহিতে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলে।
একে ছিলাম তোমারই মুখশ্রীর ছবি,
আমার হাহাকার শূণ্য হৃদয়ে।
আমি রেখেছি তোমারই মায়াবী মুখশ্রীর ছবি
আমার হৃদয়ের মাঝে,অন্তরঙ্গভাবে।
পেয়ে ছিলাম তোমারই শরীরের শুভ্র ঘ্রাণ
যে ঘ্রাণশক্তি আমায় করেছিল উত্তাল,
সেই নিঃস্তব্দ রজনীর ঘ্রাণেন্দ্রিয় তরঙ্গে।
তোমারই পরশ,অনলের লেলিহান শিখা হয়ে
আমার স্নায়ুকে উত্তপ্ত করেছিল তবে।
আমার সাথে যখন করেছিলে আলিঙ্গন,
সর্বাঙ্গে তখন হয়েছিল কম্পন।
সে অনুভূতি,আজও ভুলিতে পারিনি,
যে অনুভূতির প্রেয়সে,আজও তোমাকে মনে পড়ে।