হে ধরণী,
কতো অপরূপা তুমি!
তোমার চরণে
লুটায়ে পড়েছে,
প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের খনি।


হে ধরণী,
পড়ন্ত বিকেলে
স্নিগ্ধ পরশে,
প্রকৃতির স্নেহের
ভালোবাসার আলপনা,
এঁকে দেই
তোর গাঁয়ে।


গোধূলি লগ্নে
প্রকৃতির ঢঙে,
শশাংকের আলোর ছটা পড়ছে
বিটপীর গতরে।
চারদিক যেন,
উল্লাসে উৎফুল্লতা
ধরণীর র্সবাঙ্গে।


গাঁয়ের পাশ দিয়ে ঘেঁষা
তটিনীর মৃদু ছন্দে,
মনে যে করে বড়ই উতলা।
অপরাহ্ণের পরে
যাচ্ছে শুনা আজানের ধ্বনি,
দূর থেকে আসিতেছে
মোর কর্ণে শঙ্খধ্বনি।


পাখিরা ফিরছে নীড়ে
নিজ আপন লয়ে,
সারা দিনের কর্ম ব‍্যস্ততা
পরিত‍্যাগ করে।
ক্লান্ত দেহে
চাষীরা যাচ্ছে বাড়ি,
ভারাক্রান্ত গোধূলি লগ্নে।


হে ধরণী,
তুমি মোদের
মাতৃরূপে,মা জননী।


হে ধরণী,
তোমার কোলে
আশ্রয় যেন হয়,
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত।
হে ধরণী,
তুমি সাক্ষী
এটাই মোর প্রত‍্যাশা
মোর স্রষ্টার কাছে।