হঠাৎ চলার পথে দেখা হলো তাঁর সাথে
বহু দিন বহু কাল পরে গোধূলি বেলা,
প্রায় দুই যুগের অনন্ত সময় পেড়িয়ে।
স্তব্ধ হয়ে নিরবতা পালন করে বিস্ময়ের সাথে
তাঁকিয়ে ছিলাম তাঁর পানে।
রুগ্ন দেহে ক্লান্তিকর ছাপ নিয়ে আছে দাঁড়িয়ে
বহু চেনা মুখটা আজ বড়ই অচেনা,
এই তো সেই হাসি মাখা মুখ মোর বড়ই চেনা
হাসি তো নেই তাতে যেন অন্ধকারময়ে ঢাকা।
ছিলে তুমি খেলার সাথী মোর শৈশব কালে
কতদিন খেলার ছলে করেছি ঝগড়া তোমার সাথে,
কথা না বলে থাকতে পারিনি একদিনও তবে, মিলেমিশে করেছি খেলা দুজনে দুজনার সাথে।
শৈশব পেড়িয়ে যখন কৈশোরে পদার্পণ করি
তখনও তুমি খেলার সাথী ছিলে মোর।
একদিন খেলার সময় ডাক এলো তোমার ফুপুর
তাড়াতাড়ি ঘরে আয় তো দেখি নুপুর।
তুমি তড়িঘড়ি করে খেলা ফেলে উঠে চলে গেলে,
পেছন থেকে ডেকে ছিলাম তোমায়
কানে নেও নি তবে।
সন্ধ্যার পরে যখন বাসায় ফিরে পড়তে বসি
মা ও চাচীর কথা শুনি পড়ার কক্ষে বসি।
হঠাৎ শুনি তোমার কথা মা ও চাচীর মুখে
মা বলে,নুপুরকে দেখতে এসেছিল আজকে ।
ছেলে পক্ষ পছন্দ করেছে শুক্রবার বিবাহ হবে যে
সেই দিনই তো শেষ দেখা হয়েছিল নুপুরের সাথে।
প্রায় দুই যুগের অনন্ত সময় পেড়িয়ে,
হঠাৎ চলার পথে আবারও দেখা হলো নুপুরের সাথে।
এক বুক ভরা আশা নিয়ে কাছে গিয়ে বলি
কেমন আছো তুমি?
এই বলে দাঁড়িয়ে ছিলাম
তাঁর মুখ থেকে উত্তর পাব বলে।
কিছু না বলে পাশ কাঁটিয়ে চলে গেলো আবারও
অসহায় ভাবে তাঁকিয়ে ছিলাম চলে যাবার পথে।
দুই যুগ পর পেয়েছিলাম তাঁর দেখা
হলোনা যে আর কথা,
না জানি মরার আগে হবেনি তাঁরই সাথে কথা বলা।